মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় নড়াইলের আব্দুল ওহাব (৮০) এবং ওমর আলী শেখসহ (৬৫) তিন আসামির বিরুদ্ধে অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিল করেছে প্রসিকিউশন।
এ বিষয়ে পরবর্তী দিন আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি ধার্য্য করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। ট্রাইব্যুনালের সদস্য বিচারপতি শাহিনুর ইসলাম ও বিচারপতি মো. সোহরাওয়ার্দী এর দুই সদস্যের বিচারিক প্যানেল আজ এ আদেশ দেন। প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানি করেন প্রসিকিউটর সাইদুর রহমান এবং রেজিয়া সুলতানা চমন।
প্রসিকিউটর রেজিয়া সুলতানা সাংবাদিকদের জানান, মামলার অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিল করে তদন্ত প্রতিবেদনের জন্য ৩ মাসের সময় চাওয়া হয়। আদালত আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি পরবর্তী দিন নির্ধারণ করেছেন। এ মামলায় তিন আসামির মধ্যে দুই আসামি গ্রেফতার রয়েছেন। একজন এখনও পলাতক রয়েছে বলে জানান এ আইনজীবী।
২০১৫ সালের ১০ ডিসেম্বর সদর উপজেলার ফুলশ্বর গ্রাম থেকে নাশকতার মামলায় ওহাবকে এবং ২০১৬ সালের ২ ফেব্রুয়ারি নড়াইল পৌরসভার বরাশুলা থেকে ওমরকে আটক করা হয়।
গত ৩ মে ট্রাইব্যুনাল মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় তাদের গ্রেফতার দেখানোর আদেশ দেয়। বর্তমানে এ দুই আসামি ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে রয়েছেন।
তদন্ত সংস্থা জানায়, বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় নড়াইলের তুলারামপুরে দুটি হত্যাকা-ের ঘটনায় তিন আসামির বিরুদ্ধে চলতি বছরের ২১ মার্চ তদন্ত শুরু হয়। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগে বলা হয়, মুক্তিযুদ্ধের সময়ে নড়াইল শহরের পুরাতন লঞ্চঘাটে রাজাকাররা ক্যাম্প স্থাপন করে। শান্তি কমিটির চেয়ারম্যান কুখ্যাত রাজাকার সোলায়মানের নির্দেশে জল্লাদ ওহাব ও ওমর অসংখ্য মুক্তিযোদ্ধা ও স্বাধীনতাকামী মানুষকে জবাই করে লাশ চিত্রা নদীতে ফেলে দেয়। ওই এলাকায় এরা জল্লাদ নামে পরিচিত।