শীতের শুরুতেই রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় দেখা দিয়েছে তীব্র গ্যাস সংকট। দিনের বেলা চাহিদা মতো গ্যাস না পাওয়ায় সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন রাজধানীবাসী। সংকটের জন্য শীতে চাহিদা বেড়ে যাওয়াকে দায়ী করে, জানুয়ারি মাসে সংকট সমাধানের ইঙ্গিত দিয়েছে তিতাস গ্যাস কোম্পানি।
এদিকে, গ্যাস সংকটের দীর্ঘস্থায়ী সমাধানে নতুন কূপ খননের মাধ্যমে উৎপাদন বাড়ানোর পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।
সময় বিকেল সাড়ে চারটা। রাজধানীর আগারগাঁও এলাকার এই দুই পরিবারে তখনও চলছে দুপুরের রান্নার তোড়জোড়। স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে প্রায় তিন ঘণ্টা পার হলেও দু’টি পরিবারের কোনো সদস্যের ভাগ্যে তখনও জোটেনি দুপুরের খাবার।
রাজধানীতে শীতের সঙ্গে গ্যাস সংকটের বিষয়টি এখন যেন নিয়মে পরিণত হয়েছে। তাইতো আগে থেকেই বিকল্প পথ খুঁজছেন অনেকে।
ধানমণ্ডি, মোহাম্মাদপুর, মিরপুর, শেওড়াপাড়া, কাজীপাড়া, কল্যাণপুর, বাড্ডাসহ পুরান ঢাকার বেশ কিছু এলাকায় রাত দশটার পর কিছু সময়ের জন্য গ্যাস থাকলেও দিনের বেশিরভাগ সময়ই থাকছে না। গ্যাসের সরবরাহ স্বাভাবিক হতে কোনো এলাকায় দুপুর আবার কোনো এলাকায় সময় গড়ায় গভীর রাত পর্যন্ত। এ অবস্থায় পরিবারের সদস্যদের নিয়ে দুর্বিষহ দিন কাটছে অনেকের।
দেশে দৈনিক ৩২০ কোটি ঘনফুট গ্যাসের চাহিদা থাকলেও কোম্পানিগুলোর সর্বোচ্চ সরবরাহ ক্ষমতা ২৭৪ কোটি ঘনফুট। তিতাস বলছে, চাহিদার তুলনায় যোগান কম থাকা এবং শীতে বাসাবাড়িতে গ্যাসের ব্যবহার বেড়ে যাওয়ায় তৈরি হয়েছে সংকট।
জ্বালানি ব্যবহারের ক্ষেত্রে মিতব্যয়ী হওয়ার পাশাপাশি অপচয় রোধেরও পরামর্শ এই বিশেষজ্ঞের।