(Swadesh news) ২০১৯ সালের জাতীয় নির্বাচনকে নিজের জীবনের শেষ নির্বাচন ‘আখ্যা’ দিয়ে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বলেন, জীবনের শেষ প্রান্তে এসে পৌঁছেছি। কতদিন আর বাঁচব…। আমাকে বাঁচাতে হলে জাতীয় পার্টিকে আবার ক্ষমতায় আনতে হবে। আমাকে নতুন জীবন দাও।’
রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে রোববার দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত সমাবেশে নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে এ আকাঙ্ক্ষার কথা বলেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান।
সাবেক এই সৈরশাসক বলেন, ‘আমার শেষ জীবনের চাওয়া-জাতীয় পার্টিকে আবার ক্ষমতায় দেখতে চাই। দুয়ার উন্মোচিত হয়েছে। ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য শক্তি প্রয়োজন, নির্ভর করছে তোমাদের ওপর। দলকে শক্তিশালী করো।’
এর আগে সকাল সোয়া ১০টার দিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর সমাবেশ শুরু হয়। এ সময় দলীয় পতাকা ও পায়রা উড়িয়ে সমাবেশের উদ্বোধন করেন দলের চেয়ারম্যান এরশাদ ও পার্টির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান রওশন এরশাদ।
দুই বছর পর অনুষ্ঠিত সমাবেশের প্রধান অতিথি এরশাদ জাতীয় পার্টি ক্ষমতায় গেলে দেশের জন্য কী কী করবে, তারও একটি সংক্ষিপ্ত তালিকা উল্লেখ করেন।
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, ‘ক্ষমতায় গেলে আমরা প্রাদেশিক সরকার করব।বর্তমানে প্রচলিত সরকার দিয়ে আমরা উপকৃত হইনি, বরং নিষ্পেষিত হয়েছি। এভাবে দেশ চলতে পারে না। তাই প্রাদেশিক সরকার চাই।’
এ সময় উপজেলা ব্যবস্থাকে পূর্ণাঙ্গ করে সেখানে ফের গুচ্ছগ্রাম ফিরিয়ে আনারও প্রতিশ্রুতি দেন এইচ এম এরশাদ।
তিনি বলেন, ‘এখন যা আছে, তাতে উপজেলা শাসন করেন ইউএনও। আমরা উপজেলা পরিষদকে শক্তিশালী করব। কারণ আমরা চাই জনগণের নেতা জনগণকে শাসন করুন।’
ছবি: ফোকাস বাংলা
‘আর ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের জন্য সংসদে, উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে কোটা সংরক্ষণ করা হবে,’ প্রতিশ্রুতি দেন প্রধানমন্ত্রীর এই বিশেষ দূত।
তিনি বলেন, ‘জাতীয় পার্টি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিতে বিশ্বাস করে। আমরা ১৬ কোটি মানুষ এক ও অভিন্ন। দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠায় ফের জাতীয় পার্টিকে ক্ষমতায় আনতে হবে।’
সমাবেশে এরশাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলাগুলো প্রত্যাহার করার দাবি জানান নেতা-কর্মীরা। এর পরিপ্রেক্ষিতে বক্তব্য দেওয়ার সময় পার্টির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান রওশন এরশাদ বলেন, ‘আমিও চাই মামলাগুলো প্রত্যাহার হোক। আপনারা চিন্তা করবেন না। মামলা প্রত্যাহার হবে। ইতোমধ্যে আমি কথা বলেছি এবং সে অনুযায়ী কাজও করছি।’
‘মামলা প্রত্যাহার হবে। তবে এর জন্যে পার্টিকে শক্তিশালী করতে হবে,’ যোগ করেন বিরোধীদলের নেতা রওশন।
সমাবেশে জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান জি এম কাদের, মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার, প্রেসিডিয়াম সদস্য আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু, কাজী ফিরোজ রশীদ, অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন, সালমা ইসলাম, সাহিদুর রহমান টেপা, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।