ওয়েলিংটন টেস্টের চতুর্থ দিন ৫৬ রানে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করে বাংলাদেশ দল। দিন শেষে ১২২ রানে লিড নিলেও বিপদে পড়ে টাইগারা। ব্যাট করতে তামিম ইকবাল ও ইমরুল কায়েস দারুণ শুরু করেছিলেন। গড়ে তোলেন ৪৬ রানের জুটিও। কিন্তু সেই সময় বদলি অধিনায়ক তামিম ইকবালের ডাকে রান নিতে ছোটেন ইমরুল। আউট হওয়াতে থেকে বাঁচতে শেষ মুহুর্তে এসে পপিং ক্রিজের বাইরে থেকে ঝাপ দেন। ফিল্ডার রান আউট করতে না পারলেও, লফিয়ে পড়া ইমরুল কায়েস আর উঠে দাড়াতে পারেনি। স্ট্রেচারে করে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় মাঠের বাইরে। এরপর তামিমের সঙ্গে ক্রিজে এসে দলের হাল ধরেন মুমিনুল হক। কিন্তু ওপেনিং পার্টনার ইমরুলের বিদায়ের পর ছোট্ট এক ভুলে স্যন্টনারের বলে বোল্ড হন ২৫ রান করা তামিম। বাংলাদেশের সংগ্রহ ১ উইকেট হারিয়ে ১৪ ওভারে ৫২ রান। সেই সুবাদে লিড নিয়েছেন এখন পর্যন্ত ১০৮ রাানের। মুমিনুলকে নিয়ে লড়াই শুরু এখন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। কিন্তু মাত্র ৫ রান করেই মাহমুদুল্লাহ দলের বিপদ বাড়ান। শেষ ৭ মিনিটে নাইট ওয়াচম্যান হিসেবে পাঠনো হয় তরুণ মেহিদী হাসান মিরাজকে। কিন্তু দিন যেন ছিল স্যন্টনারেরই। তরিঘড়ি রান নিতে ছুটে দিনের শেষ মুহুর্তে আউট হন ১ রান করা মিরাজ। চতুর্থ দিন শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৬৬ রান ৩ উইকেট হারিয়ে। এর মধ্যে ইমরুল কায়েস মাঠে ফিরতে পারবেন কিনা তা নিয়ে রয়েছে যথেস্ট সন্দেহ। যে কারণে ৫ম দিন কত বড় লিড নিতে পারে টাইগারা তাই এখন দেখার বিষয়।
এর আগে বাংলাদেশের ৫৯৫ রানের জবাবে টম ল্যাথামের সেঞ্চুরির পর শেষ দিকে মিচেল স্যান্টনারের ফিফটিতে নিউজিল্যান্ডের স্কোর বোর্ড ৫০০’শ ছাড়িছিল। চা বিরতীর আগে দ্রুত দুই উইকেট হারালেও দলের হাল ধরে রাখেন এই ব্যাটসম্যান। তার লড়াইয়েই লিড নেয়ার স্বপ্ন দেখছিল নিউজিল্যান্ড। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেই স্বপ্ন পুরণ হয়নি। শুভাশিষ রয়ের দ্বিতীয় শিকার হয়েছেন ৭৩ রান করা স্যান্টনার। তার বিদায়ে বাংলাদেশের ইনিংস থেকে ৫৬ রান দূরে থেকেই অল আউট হয়। এগিয়ে থেকে চা বিরতীর পর দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করেছে বাংলাদেশের দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও ইমরুল কায়েস। এর আগে চতুর্থ দিন চা বিরতীতে যাওয়ার আগে প্রথম ইনিংসে নিউজিল্যান্ড সংগ্রহ ৮ উইকেট হারিয়ে ৪৯২ রান। তবে চা বিরতির আগে ৮ উইকেট হারালেও কিউইরা লিড নেয়ার স্বপ্ন দেখেছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাদের থামতে হয় ৫৩৯ রানে। বাংলাদেশের হয়ে ২ টি করে উইকট পেয়েছে শুভাশিষ রয়, সাকিব আল হাসান ও মাহমুুদুল্লাহ। তিনটি উইকেট পেয়েছেন কামরুল ইসলাম রাব্বি।