রাজধানীর পাইকারি বাজারে আবারো বেড়েছে রসুনের দাম, যদিও স্থিতিশীল রয়েছে সব ধরণের পেঁয়াজ আর আলুর বাজার।
চলতি সপ্তাহে বস্তা প্রতি সাড়ে তিন’শ টাকা বেড়েছে আটা-ময়দার দাম, কিছুটা বেড়েছে বোতলজাত সয়াবিনের দামও। ডাল আর চিনির বাজারে পরিবর্তন না আসলেও কোনভাবেই কমছে না চালের দাম।
নতুন চাল আসার পরও দাম না কমায় বিস্মিত ব্যবসায়ীরা বলছেন, মিল মালিকদের কারণেই নিয়ন্ত্রণে আসছে না চালের বাজার।
গেল সপ্তাহেও রাজধানীর বাজারে আমদানি করা চীনা রসুনের পাইকারি দর ছিলো ১শ ৭৫ থেকে ১শ ৮০ টাকার মধ্যে, কিন্তু চলতি সপ্তাহে প্রতি কেজিতে তা বেড়েছে ১০ থেকে ১৫ টাকা। তবে সেই অর্থে পরিবর্তন আসেনি আদা আর আলুর বাজারে।
যদিও কমেছে পেঁয়াজের দাম। বাজারে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৮ টাকা দরে, চলতি সপ্তাহে আমদানি করা ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৫ টাকা দরে।
তবে হটাৎ করেই অস্থির হয়ে উঠেছে আটা আর ময়দার বাজার। ব্যবসায়ীরা বলছেন, গম সংকটের কারণেই উৎপাদন কমেছে আটা ময়দার। তবে সে তুলনায় অনেকটাই স্থিতিশীল বিভিন্ন ধরণের ডাল আর চিনির বাজার।
যদিও বেড়েছে বোতলজাত সয়াবিন আর পাম অয়েলের দাম। দামের ঊর্ধ্বগতি লক্ষ্য করা গেছে সব ধরণের মশলার বাজারেও।
এদিকে, সরবরাহে ঘাটতি না থাকলেও বাজারে প্রতি সপ্তাহেই ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে মিনিকেট, আটাশ, নাজিরশাইল সহ অন্যান্য চালের দাম।
নতুন মৌসুমের চাল আসার পরও দাম কমছে না কেন, এমন প্রশ্নের উত্তরে মিল মালিকদের উপর দায় চাপালেন আড়তদাররা।
এদিকে, স্বাভাবিক রয়েছে বিভিন্ন ব্রান্ডের গুঁড়োদুধ, আর খোলা সয়াবিনের বাজার দর।