সম্পাদনায় -আরজে সাইমুর, স্বদেশ নিউজ২৪.কম: মেরিটাইম সেক্টর দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। এ সেক্টরে দক্ষ মানব সম্পদ তৈরিতে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি মেরিন একাডেমীগুলো অগ্রণী ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। নৌপরিবহন মন্ত্রী আজ বুধবার গাজীপুরের পুবাইলে ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম একাডেমীর (আইএমএ) প্রি-সি ক্যাডেটদের ষষ্ঠ ব্যাচের পাসিং আউট অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বেগম মেহের আফরোজ চুমকি বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন। এতে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব অশোক মাধব রায়, নৌপরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমডোর সাইদ আরিফুল ইসলাম, আইএমএ’র কমান্ড্যান্ট ক্যাপ্টেন জাকি আহাদ এবং পরিচালক মিসেস রুম্মানা চৌধুরী বক্তব্য রাখেন।
মন্ত্রী বলেন, সমুদ্রগামী জাহাজের নাবিক প্রশিক্ষণের জন্য ১৯৭২ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান চট্টগ্রামে ‘বাংলাদেশ মেরিন একাডেমী’ প্রতিষ্ঠা করেন। ৪২ বছর পর শেখ হাসিনার সরকারের সময় সিলেট, রংপুর, বরিশাল ও পাবনায় ৪টি মেরিন একাডেমী ও চট্টগ্রামে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেরিন বিশ্ববিদ্যালয়’ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। বাংলাদেশ মেরিন একাডেমী অস্ট্রোলিয়ান মেরিটাইম কলেজের যৌথ উদ্যোগে মেরিটাইম এডুকেশন উন্নয়ন শীর্ষক প্রকল্পের অধীন একাডেমীর প্রশিক্ষণ মান আন্তর্জাতিক মর্যাদা লাভ করেছে।
তিনি বলেন, নারী শিক্ষার উন্নয়ন, ক্ষমতায়ন ও নারী সমাজের সম-অধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় ২০১২ সাল থেকে প্রথম বারের মত প্রতি ব্যাচে ২০ জন করে ফিমেল ক্যাডেট ভর্তি ও প্রশিক্ষণ কার্যক্রম গৃহীত হয়েছে।
সার্বিক কৃতিত্বের জন্য এবার স্বর্ণপদক পান ক্যাডেট মিনহাজ উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী। শ্রেষ্ঠ নটিক্যাল ক্যাডেট হিসেবে সিলভার পদক পান ক্যাডেট রাজু আহমেদ এবং ক্যাডেট তানজির আহম্মেদ শ্রেষ্ঠ ইঞ্জিনিয়ার ক্যাডেট হিসেবে সিলভার পদক পেয়েছেন। একদল চৌকস ক্যাডেট কুচকাওয়াজ প্রদর্শন করে।
আইএমএ’র প্রশিক্ষণ কার্যক্রম নৌপরিবহন অধিদপ্তরের অনুমোদিত পাঠ্যক্রম অনুযায়ী হয়। ক্যাডেটগণ দুবছরের প্রশিক্ষণ শেষে ক্যাডেট হিসেবে মেসার্স হক এন্ড সন্স এর ব্যবস্থাপনায় বিদেশের বিখ্যাত কোম্পানীতে যোগদান করার সুযোগ লাভ করে থাকে। তারা তাদের বেতন আন্তর্জাতিক বেতন স্কেলে অর্জন করতে পারে। ক্যাডেটগণ সার্টিফিকেট অফ প্রফিসিয়েন্সি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের এক বৎসরের জন্য সামুদ্রিক জাহাজে যোগদান করবে।
বেসরকারি মেরিটাইম প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রে আইএমএ হচ্ছে প্রথম প্রতিষ্ঠান। ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম একাডেমী প্রথম ব্যাচ পাসিং আউট সিরিমিনি উদযাপন করেছিল ১ লা মার্চ ২০১০। পরবর্তীতে ২৮ জুলাই ২০১১ সালে দ্বিতীয় ব্যাচ, ৩০ শে জানুয়ারি ২০১৪ তৃতীয় ব্যাচ, ১৮ই ফেব্রুয়ারি ২০১৫ চতুর্থ ব্যাচ এবং পঞ্চম ব্যাচ ২৩ শে ফেব্রুয়ারি ২০১৬ তে সফলতার সাথে বিদায়ী অনুষ্ঠান উদাপন করেছে।
এর পাশাপাশি রেটিংস প্রথম ব্যাচ ও দ্বিতীয় ব্যাচ এর সমাবর্তন হয়েছিল যথাক্রমে ১১ই ডিসেম্বর ২০১৪ এবং ৭ই এপ্রিল ২০১৬। বর্তমান ব্যাচ এ ২৫ জন ক্যাডেট এবং ৩য় ব্যাচে ৪৮ জন রেটিং প্রশিক্ষণরত রয়েছে। অনুষ্ঠানে বিদেশী অতিথিরাও উপস্থিত ছিলেন। পাসিং আউট অনুষ্ঠানে আই এম এ’র একটি ওয়ার্কশপও উদ্বোধন করা হয়।