‘বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থা’র উদ্যেগে ইং ০২ মার্চ ২০১৭ তারিখ বেলা ১১:০০ ঘটিকায় “খুলনার চাঞ্চল্যকর পিতা-কন্যা ইলিয়াস চৌধুরী ও ব্যাংক কর্মকতা পারভীন সুলতানা হত্যা, ডাকাতি ও গণ-ধর্ষন মামলার বিচার কাজ খুলনা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে সম্পন্ন করার দাবীতে খুলনা জেলার বিজ্ঞ পাবলিক প্রসিকিউটর এডঃ কাজী আবু শাহীন সাহেবের মাধ্যমে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের আইনমন্ত্রী বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। খুলনা জেলার বিজ্ঞ পাবলিক প্রসিকিউটর এর নিকট স্মারকলিপি তুলে দেন ‘বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থা’র খুলনা জেলা সমন্বয়কারী এডঃ মোঃ মোমিনুল ইসলাম। এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মামলার বাদী রেজাউল আলম চৌধুরী বিপ্লব, ব্লাষ্ট খুলনার সমন্বয়কারী এডঃ অশোক কুমার সাহা, জনউদ্যোগ খুলনার সমন্বয়কারী এডঃ কুদরত ই খুদা, নারী নেত্রী এডঃ তসলিমা খাতুন ছন্দা, এডঃ সেলিনা আক্তার পিয়া, সাংবাদিক মোঃ নুরুজ্জামান, সংস্থার পি.এফ মোঃ আজিজুর রহমান, পি.এফ সাবরিনা আফরোজ প্রমুখ। উল্লেখ্য যে, ইং ১৮/০৯/২০১৫ তারিখ শুক্রবার ১৫:৩০ ঘটিকা থেকে ১৯:৩০ ঘটিকার মধ্যবর্তী সময়ে আসামী ১। মোঃ লিটন (২৮), আসামী ২। সাইফুল ইসলাম ওরফে পিটিল (৩০) আসামী ৩। আবু সাঈদ (২৫), আসামী ৪। শরিফুল ইসলাম (২৭), আসামী ৫। আজিজুর রহমান ওরফে পলাশ (২৬), দেওয়াল টপকিয়ে ইলিয়াস চৌধুরীর বাড়ীর ভিতরে প্রবেশ করে। পরে বাড়ীতে থাকা মই দ্বারা অন্যান্য আসামীরা বাড়ীতে প্রবেশ করে। আসামীরা বাড়ীতে ঢুকে নাইলনের দড়ি দ্বারা গলায় ফাঁস লাগিয়ে ইলিয়াস চৌধুরীকে হত্যা করে। ঘরের আলমারী ভেঙ্গে আলমারীতে থাকা নগদ ৮০,০০০/- টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট করে। এরপর পারভীন সুলতানাকে ধরে সকল আসামী পালাক্রমে ধর্ষন করার পর গলায় ফাঁস দিয়া হত্যা করে। আসামীরা নৃশংস ভাবে ইলিয়াস চৌধুরী (৭৩)কে স্বাশরোধ করে হত্যা করে ও তার মেয়ে পারভীন সুলতানা (৩০) কে গণ-ধর্ষনের পর হত্যা করার করে আলামত গোপন করার জন্য মৃতদেহ উক্ত বাড়ীর সেপটিক ট্যাঙ্কির মধ্যে লুকিয়ে রাখে। এ বিষয়ে লবনচরা থানা খুলনাতে দুটি মামরা রুজু হয়, যার মামলা নং: ০৩(০৯)১৫ এবং ০৫(০৯)১৫। লবনচরা থানা পুলিশ মামলা দুটি তদন্ত শেষে আসামীদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করার মামলা দুটি বর্তমানে বিচারাধীন রয়েছে।