ইন্দোনেশিয়ার পেকানবারু শহরের একটি কারাগার ভেঙে ৪৪২ জন বন্দি পালিয়েছে। তাদেরকে নামাজ পড়ার সুযোগ দিতে কারারক্ষীরা দরজা খুলে দিলে তারা পালাতে শুরু করে। পুলিশ প্রথমে জানায় প্রায় ২০০ বন্দি পালিয়েছে। তবে পরে জানা যায়, এই সংখ্যা আরো বেশি। পরবর্তীতে নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে এদের অনেকেই ধরা পড়ে। এখনো ২ শতাধিক বন্দি ধরাছোঁয়ার বাইরে। এ খবর দিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি। খবরে বলা হয়, স্থানীয় পুলিশের মুখপাত্র গুন্টুর আর্য তেজো বলেন, বন্দিরা পালানোর পর কর্তৃপক্ষ ব্যাপক আকারে অভিযান শুরু করে। গতকাল সন্ধ্যার দিকে প্রায় অর্ধেককে ফের আটক করা সম্ভব হয়। বাকিদের আটকে অভিযান চলছে। তেজো আরো বলেন, পরে যেসব বন্দিকে ধরা সম্ভব হয় তাদেরকে পেকানবারুতেই আটক করা হয়। আবার কয়েক ডজন বন্দি ওই কারাগার থেকে পালিয়ে অন্য কারাগারে হাজির হয় এবং আত্মসমর্পণ করে। তারা দাবি করে, আগের কারাগারে তাদেরকে খুব বাজে অবস্থায় রাখা হতো। প্রসঙ্গত, ওই কারাগার ৩০০ জনের উপযোগী হলেও, সেখানে রাখা হয়েছে ১৮৭০ জন। সেখানে রক্ষী ছিল মাত্র ৫ জন। তেজো বলেন, কারাগারটির পরিস্থিতি এখন অবশ্য শান্ত। এএফপির খবরে বলা হয়, ইন্দোনেশিয়ায় জেল ভেঙে পালানোর ঘটনা অস্বাভাবিক নয়। ভারে ম্যুহমান কারাগারগুলোতে বন্দিদের খুবই করুণ অবস্থায় রাখা হয়। ২০১৩ সালে দেশটিতে বেশ কয়েকটি বন্দি পালানোর ঘটনা ঘটে। এর একটিতে সন্ত্রাসবাদের দায়ে দণ্ডিত বন্দিসহ প্রায় ১৫০ জন বন্দি পালাতে সক্ষম হয়।