পীরগঞ্জে সিমেন্ট বোঝাই ট্রাক উল্টে ১৭ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছে আরো ২০ জন। শনিবার ভোর রাতে রংপুর-ঢাকা মহাসড়কের কলাবাগান নামক স্থানে এ মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা সবাই সিমেন্টের বস্তার নিচে চাপা পড়ে মারা যান।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, গাজীপুর থেকে একটি সিমেন্টবাহী ট্রাকের ছাদে করে ৪০ থেকে ৪৫ জন গার্মেন্ট শ্রমিক লালমনিরহাটের উদ্দেশে রওনা হয়। ট্রাকটি পীরগঞ্জের কলাবাগান এলাকায় পৌঁছলে চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। এক পর্যায়ে ট্রাকটি উল্টে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই ২ মহিলা ও ১ শিশুসহ ১১ জন প্রাণ হারান। অপরদিকে আহত ২০ জনকে গুরুতর অবস্থায় পীরগঞ্জ ও মিঠাপুকুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হলে সেখানে আরো ৬ জন মারা যান। নিহতদের অধিকাংশই গার্মেন্ট শ্রমিক। বাড়ি ফেরার সময় বাসের টিকিট না পেয়ে তারা সিমেন্ট বোঝাই ট্রাকের উপর ওঠে। নিহতরা হলো- কুড়িগ্রামের আদিতমারি উপজেলার মহিষখোষা গ্রামের রবিউল ইসলাম (৩৮), নাছিদা আক্তার (২৮), আলমগীর হোসেন (৪৩), দেলোয়ার হোসেন (৩৫), আজিজুল ইসলাম (৪০), লালমনিরহাটের কালিগঞ্জ উপজেলার উত্তর বত্রিশ খামারী গ্রামের সন্টু মিয়ার কন্যা সুবর্ণা (১০), ঝন্টু মিয়া (৩৮), আনিছুজ্জামান (২৪), কোহিনূর (৩২) জসিম উদ্দিন (৪৬), একই উপজেলার শাহাপুর গ্রামের মজনু মিয়া (৪২), শহিদুল ইসলাম (৫৫), সাদ্দাম হোসেন (৪৪), মনির হোসেন (৩০), রফিকুল ইসলাম (৫২) ও খলিল মিয়া (৫২)। দুর্ঘটনার পর পরেই বড়দরগা হাইওয়ে পুলিশ, পীরগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস কর্মী ও এলাকাবাসী যৌথ প্রচেষ্টায় উদ্ধার কাজ পরিচালনা করেন। আহত যাত্রীরা জানান, ট্রাকের চালক তার হেলপারের হাতে স্টিয়ারিং দিয়ে কেবিনে ঘুমাচ্ছিল। এতে এই দুর্ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থল পরিদর্শনে এসে রংপুরের সিনিয়র এএসপি ধীরেন্দ্র চন্দ্র জানান, এ ব্যাপারে মামলা হবে। তবে মানবিক কারণে ময়নাতদন্ত ছাড়াই নিহতদের লাশ তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।