বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হবে স্বাভাবিক কিন্তু বৃষ্টি শেষ হওয়ার কয়েক ঘন্টা পরেও রাস্তায় হাঁটু পানি কোনভাবেই স্বাভাবিক ভাবে নিচ্ছে না শহরবাসী। আজ দুপুরে ঘন্টা ব্যাপী ভারীবর্ষন শেষে হাঁটুপানিতে তলিয়ে যায় শহরের ব্যস্ততম অনেক সড়ক। পাবনা শহরের প্রাণ কেন্দ্র সব চেয়ে ব্যস্ততম রাস্তা আওরঙ্গজেব রোড, পাবনা কলেজের গলি, দই বাজার রাস্তা, হাজী মার্কেটের আনাচে কানাচে এমনকি মার্কেটের ভেতর পানিতে থই থই। এ সব স্থানে একটু বৃষ্টি হলেই প্রায় হাঁটু পানির নিচে তলিয়ে যায়। কয়েক মিনিটের মাঝারি বা ভারী বর্ষণে রাস্তায় যে পানি জমা হয় তা নামতে কয়েক ঘন্টা সময় লেগে যায় বলে জানায় রাস্তার পাশের দোকানিরা। এছাড়া শহরের প্রায় প্রত্যেকটি ওয়ার্ডেই সরেজমিনে দেখা যায় বৃষ্টি হওয়ার কয়েক ঘন্টা পরেও পানি সরেনি। শহরের দিলালপুর, কালাচাঁদ পাড়া, দক্ষিণ রাঘবপুর, মোজাহিদ ক্লাবসহ প্রায় এলাকাতেই ব্যাপক জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থার সমস্যার কারণে এ সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে বলে জানায় এলাকাবাসী। ঠিকমত রাস্তার ড্রেন পরিষ্কার না করার কথা বলছে অনেকে। বৃষ্টিতে শহরের একটি ব্যস্ততম রাস্তা আওরঙ্গজেব রোড ও এর আশেপাশের মার্কেটেও পানি উঠে যায়। রাস্তার পাশের মার্কেট (জুতাপট্টি) পানিতে থই থই করে। পাদুকা ব্যবসায়ি সমিতির সভাপতি মো. আবুল কাশেম বলেন একটু বৃষ্টি হলেই মার্কেটের দোকানের ভেতর হাটু পানি হয়ে যায়। এ সময় খুব অসহায় মনে হয়। সরেজমিন দেখা যায় মার্কেটের ভিতরে এক দোকানি সোফার উপর শুয়ে ঘুমাচ্ছে। মার্কেটের কর্মচারীরা অভিযোগ করে বলেন বৃষ্টির পানির সাথে নিচে থেকে ড্রেনের ময়লা পানি উঠে দোকান ভেসে গেছে তাই মার্কেট ক্রেতাশূণ্য। এই হাঁটু পানি পেরিয়ে কে আসবে মার্কেট করতে। দোকান ব্যবসায়ী আব্দুল হান্নান বলেন পাবনা শহরের ব্যস্ততম এ সড়কটিতে প্রতিদিন হাজার হাজার লোকের আনাগোনা। ইতিপূর্বে পৌর কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করে সমস্যা তুলে ধরা হয়। তাতেও এর যথাযথ সমাধান পাওয়া যায়নি। আমরা কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদন জানাচ্ছি যেন দ্রুত সময়ের মধ্যে এই ব্যস্ততম রাস্তাটির পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থার সমাধানে কর্তৃপক্ষ এগিয়ে আসে। এতে করে আমাদের ভোগান্তি থেকে অবসান ঘটবে।