নিউজ ডেস্ক: সন্ত্রাসী হামলার নতুন ধরন দাঁড়িয়েছে পথচারীদের ওপর গাড়ি তুলে দিয়ে নির্বিচারে হত্যা। ইউরোপের বিভিন্ন দেশে গত কয়েক মাসে একের পর এক এ ধরনের অনেক হামলা হয়েছে। এমন হামলা থেকে রক্ষা পেতে করণীয় কিছু বিষয় ঠিক করেছে অস্ট্রেলিয়ার কর্তৃপক্ষ।
দেশটির প্রধানমন্ত্রী ম্যালকম টার্নবুল গতকাল রোববার একটি কৌশলপত্র প্রকাশ করেন, যার শিরোনাম ‘সন্ত্রাসবাদ থেকে জনাকীর্ণ স্থানের সুরক্ষায় অস্ট্রেলিয়ার কৌশল’। তিনি বলেন, দিন দিন সন্ত্রাসী হামলার হুমকি বাড়ছে। সে জন্য দেশবাসীকে নিরাপদ রাখার জন্য নিরাপত্তা পদক্ষেপের উন্নয়ন করা জরুরি হয়ে পড়েছে।
প্রকাশিত কৌশলপত্রে লন্ডন ব্রিজের মতো হামলা ঠেকাতে স্টেডিয়াম, বিপণিবিতানের মতো জনাকীর্ণ স্থানে পায়ে হাঁটার পথ ও গাড়ি চলাচলের জায়গার মধ্যে অস্থায়ী গাড়ি রোধক স্থাপন করতে জোর দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে গাড়ি চলাচল রোধ করার খুঁটি ব্যবহারের সুপারিশও করা হয়েছে।
গাড়ি হামলায় বেশি সংখ্যক প্রাণহানি ঘটাতে বড় গাড়ি প্রাপ্তির একটি বিষয় জড়িত। তাই ট্রাকচালকদের গাড়ি চালানো শেষ হওয়ার পর তা তালা দিয়ে নামতে অনুরোধ করা হয়েছে। এ ছাড়া জনাকীর্ণ স্থানের মালিক বা আয়োজক এবং নতুন ভবনের প্রকৌশলীদের নিরাপত্তা ইস্যুটিতে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিতে বলা হয়েছে।
প্রয়োজনে রাস্তার বিভিন্ন স্থানে বেড়া দেওয়া ও ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা বসানো, গাড়ির গতি কমানোর জন্য জায়গায় জায়গায় গাছ লাগানো বা মূর্তি স্থাপন করতে বলা হয়েছে। তারপরও যদি হামলার ঘটনা ঘটে যায়, তাহলে যাতে কর্তৃপক্ষ দ্রুত সাড়া দিতে পারে সেই ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে।
অস্ট্রেলিয়ার পরিবহনমন্ত্রী ড্যারেন চেস্টার বলেন, ‘আজকের এই যুগে এসেও এ ধরনের পদক্ষেপ যে আমাদের নিতে হচ্ছে এটা খুব দুঃখজনক। তারপরও এই নিরন্তর লড়াই আমাদের করে যেতে হবে।’
গত বছর ফ্রান্সের নিস শহরে ট্রাক হামলায় ৮৬ জনের মৃত্যুর পর অস্ট্রেলিয়ায় এ ধরনের কৌশল নির্ধারণের কাজ শুরু করে। এরপর প্যারিস, লন্ডন, বার্লিন ও বার্সেলোনায় একই ধরনের হামলার ঘটনা ঘটেছে।সুত্র: প্রথম আলো