ঘটনাটি সোমবার সন্ধ্যার। চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম থেকে টিম বাসে করে অস্ট্রেলিয়া দল হোটেলে ফিরছিল। সে সময় তাদের বাসে একটি ঢিল এসে লাগে। তাতে ভেঙে যায় গাড়ির কাঁচ। এ নিয়ে বাংলাদেশের সংবাদ মাধ্যমে তেমন কিছু প্রকাশিত না হলেও অস্ট্রেলিয়ার সংবাদ মাধ্যম বিষয়টি বড় করেই দেখিয়েছে। জানা গেছে, ঢিলটি ছিল একটি ছোট পাথরের আর এতে অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটারদের কোনো ধরনের ক্ষতি হয়নি। নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে ২০১৫ সালে বাংলাদেশ সফর স্থগিত করেছিল অজিরা। এবার তারা নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার আশ্বাস পেয়ে তবেই এসেছে। তাদেরকে দেয়া হচ্ছে দেশের সেরা নিরাপত্তা। যে কারণে প্রশ্ন উঠেছে এত নিরাপত্তার মাঝেও কিভাবে ঢিল ছুড়ে মারতে পারলো কেউ!
কোনো টোকাই এমন কাজ করে থাকতে পারে। বাসের নিরাপত্তা দায়িত্বে ছিলেন নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (পশ্চিম) নাজমুল হাসান। তিনি বলেন, ঢিল ছুড়ার পর বাস দাঁড় করিয়ে টোকাই ছেলেটাকে আটক করা হয়। না বুঝে সে ঢিল ছোড়ার কারণে পরে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়।
তিনি জানান, টেস্ট ম্যাচের প্রথমদিন শেষে অস্ট্রেলিয়া টিমকে নিয়ে হোটেলে ফিরছিলাম। হঠাৎ ছুটে আসে ছোট পাথরখণ্ড। এতে বাসটির জানালার কাঁচ ভাঙলেও আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেনি। তবুও অপ্রত্যাশিত এ ঘটনার পর টিম হোটেল, চলাচলের রাস্তা, স্টেডিয়াম ও স্টেডিয়ামের আশপাশে আরও জোরদার করা হয়েছে নিরাপত্তাব্যবস্থা। বদলে ফেলা হয়েছে হোটেল থেকে মাঠে আসা-যাওয়ার রুট।
অস্ট্রেলিয়ার নিরাপত্তা প্রধান শন ক্যারল বলেছেন, গত রাতে হোটেলে ফেরার সময় অস্ট্রেলিয়া দলের বাসের একটা জানালা ভেঙেছে। এই ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি। এটা ছোট্ট একটা পাথরের আঘাত। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ঘটনাটা গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে। চলাচলের রুটে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে আমরা খুশি।
অস্ট্রেলিয়ার গণমাধ্যমে খবর আসার পর গতকাল সকালে আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দিয়েছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। পাশাপাশি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করায় সন্তুষ্টি প্রকাশ করে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া।
গতকাল সকালে অস্ট্রেলিয়াকে ভিন্ন রাস্তা ব্যবহার করে মাঠে নিয়ে আসা হয়েছে। এমনকি পথে পথেও বাড়নো হয়েছে ব্যাপক নিরাপত্তা। স্টেডিয়ামের প্রবেশ মুখে থেকে শুরু করে গোটা স্টেডিয়াম এলাাকে বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে প্রশাসন। এদিকে ঘটনার তদন্তে একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানা গেছে।