ইউটিউব, পৃথিবীর দ্বিতীয় সার্চ ইঞ্জিন। বিশ্বের অনেকেই ইউটিউবে কাজ করে, সম্প্রতি চট্টগ্রাম জেলার ফটিকছড়ি থানার কাঞ্চন নগর গ্রামের আজিজুর রহমান তানভীর ইউটিউবে গত ৭/৮ মাস ধরে কাজ করেছে, সে মূলত News আর Science and Technology নিয়ে কাজ করে, ইউটিউবে তার ৩টি চ্যানেল রয়েছে, যার একটিতে এক লাখ সাবস্ক্রাইবারের মাইলফলক স্পর্শ করেছে, তার এই চ্যানেলে এ পর্যন্ত ৫ কোটি ৩০ লাখ বারের মতো ভিডিও দেখা হয়েছে, আর সাবস্ক্রাইব করেছে এ পর্যন্ত ১ লাখ ৫ হাজারের বেশি।
ইউটিউবে তার ভিডিওর মাধ্যমে ভিউয়ারসরা বিজ্ঞাপন দেখে, আর সেই বিজ্ঞাপনের উপর ভিত্তি করে গুগল সরাসরি তাকে তার কাজের উপর ভিত্তি করে প্রতি মাসে একটা পেমেন্ট দেই, তানভীরের মতো দেশে এখন অনেকেই ইউটিউবে কাজ করে, কিন্তু তুলনামূলক প্রশিক্ষণের অভাবে কেই সুবিধা মতো ভালো কিছু করতে পারেনা।
কিভাবে এতো বড় একটা সাফল্য অর্জন করতে পেরেছে এমন প্রশ্নের জবাবে তানভীর বলেন, ছোটবেলা থেকেই মোবাইল নিয়ে ঘাটাঘাটি বেশি করতো, এক পর্যায়ে বছরখানেক আগে তানভীর জানতে পারে যে ইউটিউবে ভিডিও আপলোড করে একটা ভালো রেভিনিউ বের করা যায়, এরপর তানভীর শত শত ওয়েবসাইট ঘেঁটে ঘেঁটে আর বিদেশি কিছু ইউটিউবারের টিপ্স এন্ড ট্রিক্ম দেখে দেখে এবং টিস্প্রিং নামের একটি মার্কেটপ্লেসের কান্ট্রি ম্যানেজার ও বাংলাদেশ ইউটিউব মার্কেটার নামের একটা গ্রুপের ফাউন্ডার জাফর হোসাইন যাফির দেওয়া কিছু নির্দেশনা অনুযায়ী তানভীর নিউজ নিয়ে কাজ শুরু করে, টানা ৪মাসের বেশি সময় সে দিনে-রাতে মিলে ৩/৪ঘন্টা ঘুমিয়ে বাকী সময় গুলো শুধু ইউটিউবে ভিডিও বানানোর কাজে আর রিসার্চের কাজে ব্যবহার করতো, দিনরাত পরিশ্রম আর খুব বেশি ধৈর্যের ফলেই আজ তানভীর এক লাখ সাবস্ক্রাইবারের মাইলফলকটা স্পর্শ করতে পেরেছে।
দেশের দারিদ্রতা ও বেকারত্ব দূরীকরণের জন্য ভালো আইটি সেন্টার, কোচিং সেন্টার বা প্রশিক্ষণের ভালো ব্যবস্থাই খুব দ্রুত এনে দিতে পারে ডিজিটাল বাংলাদেশের অস্তিত্ব এই বলে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তানভীর।