দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধান তাকে বিয়ে করেছেন। বিশ্বের ক্ষমতাধর সব ব্যক্তিদের সঙ্গে তার যোগাযোগ। শুধু তাই নয় শীর্ষ হোয়াইট হাউজ কর্মকর্তাদের পরামর্শদাতাও তিনি। গিজেলে ইয়াজি বা মেডাম গিজেলে তার প্রতিবেশীদের কাছে এমনটাই বলে বেড়ান। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ড রাজ্যের বাসিন্দা। তার দাবি, তিনি মিশরের প্রেসিডেন্ট আব্দেল ফাত্তাহ আল সিসি’র গোপন স্ত্রী । ভেনেজুয়েলার সাবেক প্রেসিডেন্ট হুগো শ্যাভেজেরও সাবেক স্ত্রী। এমনকি নিজেকে ইভানকা ট্রা¤েপর মেন্টর হিসেবে দাবি করেন। এছাড়া ট্রাম্প-কন্যা ইভাঙ্কার পর হোয়াইট হাউজের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অফিসটিও তার দখলে। এরকম দাবির শেষ নেই তার। প্রেসিডেন্ট ট্রা¤প ও ফাত্তাস আল সিসির মধ্যে টেলিফোনে কথা বলার ব্যবস্থাও নাকি তিনি করে দিয়েছেন। প্রতিবেশীরা জানিয়েছে, এ সব পরিচয় দিয়ে তাদেরকে ধনী হওয়ার প্রলোভন দেখাতেন ইয়াজি। তাদের কাছে নিজের জাকজমকপূর্ণ জীবন নিয়ে গর্ব করতেন। ম্যাডাম গিজেলের বিভিন্ন রূপ নিয়ে অনুসন্ধান শুরু করে ওয়াশিংটন পোস্ট। তার কর্মকান্ড মন্টেগোমারি কাউন্টির ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি অফিসেরও দৃষ্টিগোচর হয়। এ ব্যাপারে ফোনে যোগাযোগ করা হলে ইয়াজি বলেন, তিনি এখন কলম্বিয়ায় রয়েছেন। দ্রুতই মেরিল্যান্ডে ফিরবেন। এ সময় তিনি এসব অভিযোগ দৃঢ় ভাবে প্রত্যাখান করেন। তিনি প্রেসিডেন্ট সিসির সঙ্গে গোপন বিয়ে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও সিসির মধ্যে টেলিফোনে কথা বলানোর ব্যবস্থাপনা করার কথা অস্বীকার করেন। ইয়াজি তার মেরিল্যান্ডের প্রতিবেশীদের অভিযোগও উড়িয়ে দেন। তবে হোয়াইট হাউজে তার কোন অফিস আছে কি না সে প্রশ্নের জবাব দেন নি তিনি। মেরিল্যান্ডের এক প্রতিবেশী তার বিরুদ্ধে মামলা করেছে।