রায়হান কবির,স্বদেশ নিউজ ২৪.কমঃ দুই দেশের সম্পর্ক আজ এমন উচ্চতায় পৌঁছেছে যে ভারত আজ তৃতীয়বারের মতো ঋণ দিতে যাচ্ছে। বাংলাদেশ-ভারতের শিকড় এক, দুই দেশের চ্যালেঞ্জও এক। বললেন অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি।বুধবার দুপুরে হোটেল সোনারগাঁওয়ে ‘ভারত সরকারের ম্যাক্রো ইকোনমিক উদ্যোগ’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ ও ঢাকার ভারতীয় হাইকমিশন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অরুণ জেটলি বলেন, ভারত এত বড় ঋণ আর কোনো দেশকে এখনো দেয়নি, যা বাংলাদেশকে দিচ্ছে। যা সম্ভব হয়েছে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের কারণেই। আর এই দুই দেশের সম্পর্কের মাত্রা যে কোন পর্যায়ে আছে, প্রতিবছর দেড় মিলিয়ন মানুষের ভিসাপ্রাপ্তিই তা প্রমাণ করে। ভবিষ্যতেও এ সম্পর্ক অব্যাহত থাকবে।তিনি বলেন, ভারতের প্রধান উদ্দেশ্য এখন ক্যাশলেস ডিরেকশনে যাওয়া। যদিও এটি ভারতের জন্য চ্যালেঞ্জ, কেননা এটি একটি ক্যাশভিত্তিক দেশ। নরেন্দ্র মোদি সরকার এসেই ক্যাশলেস অর্থনীতি নিয়ে কাজ করা শুরু করে।ভারতের অর্থমন্ত্রী বলেন, নগদ টাকার দিন শেষ, এখন আপনার কাছে যা আছে সবই ঘোষণা দিতে হবে। ব্যাংকের মাধ্যমে কাজ লেনদেন করতে হবে। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত এ সময় বলেন, তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারে দুর্নীতি কমে। এ প্রযুক্তির ব্যবহার যতই বাড়বে ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ডে সময় ও খরচ তত কমবে।অনুষ্ঠানে ঢাকা ও সিলেটে ভারতের ই-ভিসা অফিসের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনসহ এক্সিম ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার বাংলাদেশে শাখা চালু করা হয়।অনুষ্ঠানে স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার ম্যানেজিং ডিরেক্টর বি শ্রী রাম, বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার হর্ষ বর্ধন শ্রীংলা এবং ভারতের এক্সিম ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডেভিড রাজ কুইনাসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।