বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনে এখন সবচেয়ে আলোচিত বিষয় হচ্ছে মুশফিকুর রহিমের অধিনায়কত্ব। সংবাদ সম্মেলনে তার কিছু বক্তব্য অধিনায়ক হিসেবে ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে তার দূরত্ব ফুটে ওঠে এবং তার দায়িত্ব খর্ব হওয়ার আভাসও মেলে। দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে প্রথম টেস্ট ৩৩৩ রান এবং পরেরটি ইনিংস ও ২৫৪ রানে হারে বাংলাদেশ। দুই টেস্টেই টসে জিতে ফিল্ডিং নেয়ায় সমালোচিত হচ্ছেন মুশফিক। এরপর শুক্রবার তার মন্তব্য যেন আগুনে ঘি ঢালে। এতে দ্রুতই তাকে সরিয়ে দেওয়া হতে পারে বলে গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে। মুশফিক নিজে কী করবেন? দায়িত্ব কি ছেড়ে দেবেন? এমন প্রশ্নও ছুটছে। না, তিনি নিজে এমন কোন সিদ্ধান্ত নেবেন না। মুশফিক পুরো ব্যাপারটি ছেড়ে দিয়েছেন বোর্ডের ওপর। তবে রোববার দ্বিতীয় টেস্ট শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি দলকে নেতৃত্ব দিয়ে যেতে চান বলেই জানালেন।
এক প্রশ্নের জবাবে মুশফিক বলেন,‘আমাকে সরানো হবে কি না এই সিদ্ধান্তে ভার বোর্ডের (বিসিবি) ওপর। তারাই আমাকে এই সম্মান, দেশকে নেতৃত্ব দেওয়ার দায়িত্ব দিয়েছে। আমি সততার সঙ্গে আমার সেরা চেষ্টা করেছি। তারা যদি সন্তুষ্ট না হয় তাহলে সিদ্ধান্ত নিতে পারে।’ আরো যোগ করেন, ‘যা ঘটেছে আমি প্রথম দিনের খেলা শেষে কথা বলতে এসে কেবল তারই বর্ণনা দিয়েছি। যদি কেউ আমার মন্তব্যে খুশি না হয় তাদের অধিকার আছে আমার বা দলের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়ার।‘
ব্লুমফন্টেইন টেস্টের প্রথম দিনের খেলা শেষে এক প্রশ্নের জবাবে মুশফিক বলেছিলেন, কোচদের চাওয়ায় সীমানায় ফিল্ডিং দিতে হয় তাকে। তার বক্তব্যে ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান।
প্রশ্ন ওঠে: দক্ষিণ আফ্রিকায় দল খুবই বাজে খেলেছে। বোর্ডও তেতে আছে। মুশফিকের সরে যাওয়ার জন্য কী এটাই সময়? ‘আমি কেন সরে যাব? এটা তো ব্যক্তিগত কোনো খেলা না, দলীয় খেলা। অবশ্যই অধিনায়ক হিসেবে সব ব্যর্থতায় দায় আমার দিকেই আসবে। আমি সেটা নিচ্ছিও। দেশকে নেতৃত্ব দেওয়া আমার জন্য অনেক সম্মানের। আমি গর্বিত। এটা হবে বোর্ডের সিদ্ধান্ত। কারণ, তারাই আমাকে এনেছে।’
বাংলাদেশের পরের সিরিজ আগামী ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে দেশের মাটিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। নিজের অর্জনে খুশি মুশফিক মনে করেন, নতুন অধিনায়ক বেছে নিতে চাইলে যথেষ্ট সময় আছে বোর্ডের হাতে।