বদলে যাচ্ছে সমন্বিত সরকারি টেলিফোন নীতিমালা, ২০০৪। নতুন করে এর নাম দেয়া হয়েছে সরকারি টেলিফোন ও ইন্টারনেট নীতিমালা-২০১৭। এ নীতিমালায় সরকারি, আধা- সরকারি, সংযুক্ত দপ্তর, স্বায়ত্তশাসিত ও বিধিবদ্ধ সংস্থা, করপোরেশন, রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান, সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান, বিভিন্ন কমিশন এবং আদালতের ক্ষেত্রে এই নীতিমালা প্রযোজ্য হবে মর্মে সংশোধিত নীতিমালার শুরুতে বলা হয়েছে। এতে বলা হয়, অসামরিক প্রশাসনে নিয়োজিত প্রতিরক্ষা বাহিনীর কর্মচারীরা এই নীতিমালার আওতাভুক্ত হবেন। আজ মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত প্রশাসনিক উন্নয়ন সংক্রান্ত সচিব কমিটির বৈঠকে নতুন করে তৈরিকৃত সরকারি টেলিফোন ও ইন্টারনেট নীতিমালা-২০১৭ অনুমোদনের জন্য উঠবে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১৪ সাল থেকে সরকারি টেলিফোন নীতিমালা সংশোধনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।বিদ্যমান নীতিমালা সংশোধনের জন্য ২০১৪ সালের ৬ই নভেম্বর একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটি গঠন করা হয়। আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটি কয়েক দফা মিটিং করে একটি খসড়া তৈরি করে। এরপর ২০১৫ সালে সরকারি টেলিফোন নীতিমালা নাম দিয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে এটি প্রকাশ করা হয়। জনপ্রশাসনের ওয়েবসাইটে এটি প্রকাশ করার পর বিভিন্ন দপ্তর/ সংস্থা এবং ব্যক্তির কাছ থেকে মতামত পাওয়া যায়। এরপর সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের প্রতিনিধির উপস্থিতিতে কমিটি ওই মতামতগুলো পর্যালোচনা করে। সরকারি টেলিফোন ও ইন্টারনেট নীতিমালা, ২০১৭-এর খসড়া চূড়ান্ত করার পর এটি অর্থ বিভাগের মতামতের জন্য পাঠানো হয়। গত ২৪শে এপ্রিল অর্থ বিভাগ নীতিমালাটি নিয়ে পজেটিভ মতামত দিয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, উচ্চ আদালতের বিচারপতিদের টেলিফোন সংযোগ ও বিল প্রদান সংক্রান্ত বিষয়গুলো এতদিন নীতিমালায় উল্লেখ করা ছিল না। প্রস্তাবিত নীতিমালায় দাপ্তরিক টেলিফোন ও ইন্টারনেট সুবিধা অন্তর্ভুক্ত করে প্রাধিকারের বিষয়টি সুস্পষ্ট ও স্বয়ংসম্পূর্ণ করা হয়েছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, সংশোধিত নীতিমালার শুরুতেই শিরোনাম ও সংজ্ঞা বর্ণনা করা হয়েছে। এর আগে নীতিমালাটি অনুমোদনের জন্য মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো হয়। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এক চিঠিতে জানায়, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের টেলিফোন প্রাপ্যতার ক্ষেত্রে প্রস্তাবিত নীতিমালায় যে পরিবর্তন আনা হয়েছে তা প্রশাসনিক সংস্কার প্রকৃতির। তাই ওই নীতিমালাটি অনুমোদিত হওয়ার প্রেক্ষাপটে আইনটি সংশোধনের প্রয়োজন হবে। এজন্য নীতিমালাটি মন্ত্রিসভা বৈঠকে উত্থাপনের আগে প্রশাসনিক উন্নয়ন সংক্রান্ত সচিব কমিটিতে উপস্থাপন করে সুপারিশ গ্রহণ করা সমীচীন হবে। এর ভিত্তিতেই বিষয়টি আজ প্রশাসনিক উন্নয়ন সংক্রান্ত সচিব কমিটিতে অনুমোদনের জন্য উঠবে।