বিচারকের ভূমিকা নিলেন বেঞ্চ সহকারী। বিচারকের আদেশের অপেক্ষা না করেই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের সচিব ও পুলিশের আইজিপিসহ সংশি¬ষ্ট মামলার ১০ বিবাদিকে নোটিশ পাঠালেন। এ ঘটনা ফাঁস হওয়ায় আদালত ভবনে তোলপাড় শুরু হয়েছে। অপকর্ম ধরা পড়ার পরে নিজের মুখেই ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন বেঞ্চ সহকারী সাইফুল ইসলাম। আদালত কর্তৃপক্ষ তাকে সাময়িক বরখাস্ত করেছেন। একই সাথে তাকে কারণ দর্শানো নোটিশ দিয়েছেন প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনালের বিচারক এবং জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দ এনায়েত হোসেন।উলে¬খ্য, বে-আইনিভাবে চাকুরি থেকে বরখাস্ত করার অভিযোগে গত ৫ই অক্টোবর বরিশালের প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনালে একটি নালিশি দায়ের করেন বরিশালের আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের কনষ্টেবল জসিম উদ্দিন। মামলায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের সচিব, পুলিশের মহা পরিদর্শক (আইজিপি), বরিশাল রেঞ্জ ডিআইডি, আরআরএফ’র কমান্ড্যান্ট (পুলিশ সুপার), আরআই, রেশন স্টোরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, পোশাক ভান্ডারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, আরআরএফ অফিসের প্রধান সহকারী ও হিসাব রক্ষককে বিবাদী করা হয়। মামলাটি প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনালের ভারপ্রাপ্ত বিচারক জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দ এনায়েত হোসেন মামলার গ্রহন বিষয়ক শুনানীর জন্য আগামী ১লা নভেম্বর দিন ধার্য্য রাখেন। কিন্তু মামলা গ্রহন বিষয়ক শুনানীর অপেক্ষা না করেই নিজেই সমন নোটিশ জারি করে দেন প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনালের বেঞ্চসহকারী সাইফুল ইসলাম। গত ১১ই অক্টোবর বেঞ্চ সহকারী সাইফুল ইসলাম সাক্ষরিত একটি নোটিশ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের সচিব ও পুলিশের মহাপরিদর্শকসহ মামলার ১০ বিবাদীর কাছে পাঠানো হয়। যা আইনজীবীর মাধ্যেমে জানতে পারে বরিশাল আদালত পাড়ায় কর্মরত সাংবাদিকরা। ১৫ই অক্টোবর এ বিষয়টি নিয়ে সাংবাদিকরা সংবাদ প্রকাশ করলে বিষয়টি নজরে পরে বরিশালের বিচার বিভাগের। এ নিয়ে আদালত ক্ষুদ্ধ হয়ে কয়েকজন সাংবাদিককে তলব করেন। তারা জানান, বেঞ্চ সহকারী তাদের এ সংবাদ সরবরাহ করেছেন। এরপরই বেড়িয়ে আসে থলের বিড়াল। জানা যায়, বিবাদীদের যে শোকজ নোটিশ পাঠানো হয়েছে তা সত্যি নয়। বিচারকের আদেশ না থাকা সত্ত্বেও প্রভাবিত হয়ে বিচারকের সিদ্ধান্ত ছাড়াই বিবাদীদের কাছে নোটিশ জারি করে আদালতের বেঞ্চ সহকারী সাইফুল ইসলাম। বুধবার বরিশালের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক সুদিপ্ত দাস’র কাছে ঘটনাটি ধরা পড়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সংশি¬ষ্ট আদালতের এক সুত্র। এ ঘটনায় তোলপাড় হয়। গতকাল তাকে সাময়িক বরখাস্ত করেন প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনালের বিচারক এবং জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দ এনায়েত হোসেন। একই সাথে তাকে কারণ দর্শানো নোটিশও দেয়া হয়।জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দ এনায়েত হোসেন সাংবাদিকদের কাছে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।