1. ccadminrafi@gmail.com : Writer Admin : Writer Admin
  2. 123junayedahmed@gmail.com : জুনায়েদ আহমেদ, সম্পাদনায়-আরজে সাইমুর : জুনায়েদ আহমেদ, সম্পাদনায়-আরজে সাইমুর
  3. swadesh.tv24@gmail.com : Newsdesk ,স্বদেশ নিউজ২৪.কম : Newsdesk ,স্বদেশ নিউজ২৪.কম
  4. swadeshnews24@gmail.com : নিউজ ডেস্ক, স্বদেশ নিউজ২৪.কম, সম্পাদনায়-আরজে সাইমুর: : নিউজ ডেস্ক, স্বদেশ নিউজ২৪.কম, সম্পাদনায়-আরজে সাইমুর:
  5. hamim_ovi@gmail.com : Rj Rafi, সম্পাদনায়- সাইমুর রহমান : Rj Rafi, সম্পাদনায়- সাইমুর রহমান
  6. skhshadi@gmail.com : শেখ সাদি, সম্পাদনায়-সাইমুর রহমান: : শেখ সাদি, সম্পাদনায়-সাইমুর রহমান:
  7. srahmanbd@gmail.com : এডমিন, সম্পাদনায়- সাইমুর রহমান : এডমিন, সম্পাদনায়- সাইমুর রহমান
  8. sumaiyaislamtisha19@gmail.com : তিশা, সম্পাদনায়-সাইমুর রহমান : তিশা, সম্পাদনায়-সাইমুর রহমান
সড়ক দুর্ঘটনায় বছরে আর্থিক ক্ষতি ৪০ হাজার কোটি টাকা - Swadeshnews24.com
শিরোনাম
আজ টুঙ্গিপাড়া যাচ্ছেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী ইফতার-সেহরিতে কী খাবেন রোজায় কম দামে মাছ মাংস দুধ ডিম মিলবে যেখানে শনিবার দেশে ফিরছেন ওবায়দুল কাদের এফডিসিতে কাজের পরিবেশ ফিরে আসুক: শাকিব খান ২০২৪ সালে টিকটকে আয়ের নতুন সুযোগ এবার ঈদে চমক দেখাবেন বুবলী ব্যর্থতা থেকে ঘুরে দাঁড়াতে যে নতুন কৌশল নিচ্ছে বিএনপি শাকিব যেভাবে খেলছে খেলতে থাকুক: ওমর সানী বিপাকে পড়েছেন নিপুণ প্রয়োজনে আমরাও স্যাংশন দিতে পারি: প্রধানমন্ত্রী ফেসবুক বিভ্রাটের শিকার ৫ লাখের বেশি ব্যবহারকারী জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য হলেন মেহের আফরোজ চুমকি চৌদ্দগ্রাম প্রেসক্লাবের বার্ষিক বনভোজন ২০২৪ অনুষ্ঠিত ভ্রমণে নামাজ যেভাবে পড়বেন

সড়ক দুর্ঘটনায় বছরে আর্থিক ক্ষতি ৪০ হাজার কোটি টাকা

  • Update Time : রবিবার, ২২ অক্টোবর, ২০১৭
  • ২৬৯ Time View

ডান পায়ে মোটা ব্যান্ডেজ। কোনো রকমে এক পায়ে ক্র্যাচের উপর ভর দিয়ে খুঁড়িয়ে হাঁটছেন ফেরদৌস হোসেন। সেপ্টেম্বর মাসের গোড়ার দিকে এক সড়ক দুর্ঘটনায় তার একটি পা ভেঙে যায়। এরপর থেকে তিনি  জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। সমপ্রতি কথা হয় তার সঙ্গে। তিনি বলেন, আল্লাহ বাঁচিয়েছে।হোন্ডা চালানো অবস্থায় ট্রাক পেছন থেকে ধাক্কা দেয়। এতে একটি পা ভেঙে যায়। আরেক সড়ক দুর্ঘটনায় আহত রিয়াজ মিয়া। ২০১১ সালের নভেম্বরে এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় তার একটি পা হারান। দুর্ঘটনায় তার বাম পা শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। রাজধানীর জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন কেন্দ্রে দীর্ঘদিন চিকিৎসা নিয়েছিলেন তিনি। আজও ওই কথা মনে পড়লে তিনি বাকরুদ্ধ হয়ে যান। বর্তমানে একটি পা দিয়েই কোনো রকমে চলাফেরা করতে হয় তাকে। আর ইজিবাইক চালিয়ে কোনো রকম সংসার চলছে তার। ক্র্যাচে ভর দিয়ে সংগ্রাম করে কষ্টে জীবনযাপন চলছে রিয়াজের। শুধু ফেরদৌস বা রিয়াজ নন, বছরে সড়ক দুর্ঘটনায় এভাবে পঙ্গুত্ব বরণ করছেন কয়েক হাজার মানুষ। সড়কে প্রাণ যাচ্ছে আট থেকে ১২ হাজার মানুষের। ভিন্ন ভিন্ন পরিসংখ্যানে এ তথ্য আরো বেশি বলেও উল্লেখ করা হচ্ছে। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় বুয়েটের সড়ক দুর্ঘটনা গবেষণা ইনস্টিটিউটের তথ্য বলছে, বছরে বাংলাদেশে প্রায় সাড়ে ৩ হাজার মানুষ সড়ক দুর্ঘটনায় শারীরিক প্রতিবন্ধী হন বা পঙ্গুত্ববরণ করেন। গড়ে প্রতিদিন ৯ থেকে ১০ জন পঙ্গুত্ববরণ করে সড়ক দুর্ঘটনায়। বছরে ৫ হাজার ৭০০ জন সড়ক দুর্ঘটনায় হতাহত হন। এর মধ্যে ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ পঙ্গুত্ববরণ করেন বলে জানিয়েছেন এআরআই’র বিভাগের সহকারী অধ্যাপক কাজী মো. সাইফুন নেওয়াজ। তিনি জানান, সব দুর্ঘটনাই রেকর্ড হয় না। তবে বেসরকারি হিসাবে এটা তিন-চারগুণ হবে বলে সংশ্লিষ্টরা বলছেন। প্রতিষ্ঠানটি বলছে, দুর্ঘটনার কারণে বছরে ক্ষতি হয় ৪০ হাজার কোটি টাকা। যা দেশের জিডিপির শতকরা ৩ থেকে ৪ ভাগ। বুয়েটের এআরআই’র সেফ ড্রাইভিং ম্যানুয়ালে পুলিশের রেকর্ড তথ্য উল্লেখ করে বলা হয়েছে, গত ১৭ বছরে (১৯৯৮-২০১৪) দুর্ঘটনায় ৪৫ হাজার ৯৪০ জন প্রাণ হারিয়েছেন। বছরে গড়ে দুই হাজার ৭০২ জন লোক সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান। এই সময়ে আহত হয়েছেন ৪২ হাজার ২৯৭ জন। দুর্ঘটনা ঘটেছে ৫৩ হাজার ১৯১টি। প্রকৃতপক্ষে প্রাণহানির সংখ্যা আরো অনেক বেশি বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন। বেসরকারি হিসাবে এ সংখ্যা ৮ থেকে ১২ হাজার। এআরআই’র পরিসংখ্যান মতে, ২০১৪ সালে মারা গেছে এক হাজার ৬৩২ জন। আহত হয়েছেন ৭৯৯ জন। ২০১৩ সালে মারা গেছেন এক হাজার ৭৮২ জন। আহত হয়েছেন ৯২৭ জন। ২০১২ সালে প্রাণ হারান এক হাজার ৯৫৩ জন এবং আহতের সংখ্যা এক হাজার ৩৪২ জন। ২০১১ সালে নিহত হয়েছেন দুই হাজার ৭২ জন এবং আহতের সংখ্যা এক হাজার ৪৪৮ জন। ২০১০ সালে মারা যান দুই হাজার ৪৪৩ জন এবং আহত হন এক হাজার ৭০৬ জন। ২০০৯ সালে মারা গেছেন দুই হাজার ৭০৩ জন এবং আহতের সংখ্যা এক হাজার ৭৪৬ জন। এআরআই’র মতে, সড়ক দুর্ঘটনার ৬৪ শতাংশ সংঘটিত হয় গ্রামাঞ্চলে। আবার গ্রামের ৭০ থেকে ৮০ ভাগ দুর্ঘটনা ঘটে মহাসড়কগুলোয়। বিভিন্ন ধরনের সড়ক দুর্ঘটনার বিশেষণে দেখা গেছে, মোট দুর্ঘটনার শতকরা প্রায় ৫৪ ভাগই পথচারীর সঙ্গে সংঘর্ষজনিত দুর্ঘটনা। এআরআই মনে করে, পুলিশ দুর্ঘটনা ও হতাহতের যে হিসাব দেয়, প্রকৃত সংখ্যা এর তিন গুণ। এআরআই সূত্র বলছে, একটি নির্দিষ্ট এলাকার মধ্যে বছরে তিনবার বা তারও বেশি দুর্ঘটনা ঘটলে এটাকে ব্যাক স্পট হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। ব্যাক স্পটগুলোতে সড়কের অস্বাভাবিক বাঁক থাকে, সড়কের পাশে হাটবাজার গড়ে ওঠে এবং সড়ক সংকেত থাকে না। সংশ্লিষ্টরা বলছে, ভাঙাচোরা ও ত্রুটিপূর্ণ সড়ক, ভুয়া লাইসেন্সধারী চালক, গাড়ির অতিরিক্ত গতি, ওভার টেকিং, নিয়ম না মানার প্রবণতা এবং জনসচেতনতার অভাবে বেশি দুর্ঘটনা ঘটে। অর্থাৎ আইন মানে না। আইনের প্রয়োগ হয় না। তারা বলেন, সচেতনতা বৃদ্ধি, চালকের প্রশিক্ষণ, আইনের সঠিক প্রয়োগের মাধ্যমে ৫০ শতাংশের উপরে দুর্ঘটনা কমানো সম্ভব এক বছরে। আর পরিকল্পিতভাবে সড়ক নির্মাণ, ত্রুটিমুক্ত যানবাহন নিশ্চিত করা এবং এ খাতে গবেষণা-পরিকল্পনার মাধ্যমে দুর্ঘটনা একেবারে কমিয়ে আনা যায়। এ জন্য সকলের মধ্যে সমন্বয় থাকা দরকার। রাস্তার ডিজাইন পরিবর্তন এবং রাস্তার বাঁক পরিবর্তনের উদ্যোগ নিতে হবে। রাস্তাগুলোয় চিহ্ন ব্যবহার করতে হবে।
এদিকে বাংলাদেশে যাত্রী কল্যাণ সমিতির তথ্য মতে, ২০১৬ সালে ছোট-বড় সড়ক দুর্ঘটনা হয়েছে ৪ হাজার ৩১২টি। এই সময়ে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ৬ হাজার ৫৫ জন। আহত হন ১৫ হাজার ৯১৪ জন। ২০১৫ সালে সড়ক দুর্ঘটনা হয়েছে ৬ হজার ৫৮১টি। নিহত হয়েছেন ৮ হাজার ৬৪২ জন, আহত হন ২১ হাজার ৮৫৫ জন। দেশে ২০১৪ সালের সড়ক দুর্ঘটনা হয়েছে ৫ হাজার ৯২৮টি। এই সময়ে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ৮ হাজার ৫৮৯ জন।
সেন্টার ফর ইনজ্যুরি প্রিভেনশন অ্যান্ড রিসার্চ বাংলাদেশ (সিআইপিআরবি) ‘বাংলাদেশ হেলথ ইনজুরি সার্ভে-২০১৬ (বিএইচআইএস)’ শিরোনামে এক জরিপে বলা হয়েছে, প্রতি বছর বাংলাদেশে সড়ক দুর্ঘটনায় ২৩ হাজার ১৬৬ জন নিহত হন। আর তাতে প্রতিদিন গড়ে নিহতের সংখ্যা ৬৪ জন।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) সড়ক দুর্ঘটনা গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক কাজী মো. সাইফুন নেওয়াজ বলেন, রাস্তার প্রশস্ত কম। ডিভাইডার নেই। ঘন ঘন ওভার টেকিংয়ের কারণে দুর্ঘটনা বেশি হয়েছে। সড়ক দুর্ঘটনা রোধে দীর্ঘমেয়াদি বৈজ্ঞানিক গবেষণা দরকার। রোড সেফটি অডিট করতে হবে। এটা এআরআই দিয়েই করানো জরুরি বলে তিনি মনে করেন। মহাসড়কে দুর্ঘটনা কমাতে হলে অবশ্যই সার্ভিস রোড করতে হবে। হাইওয়ে থেকে বাজার-ঘাট আলাদা স্থানে সরাতে হবে। যাত্রী উঠানো-নামানোর জন্য আলাদা ছোট্ট লেন করতে হবে। প্রকৌশলগতভাবে অবকাঠামো উন্নয়নের মাধ্যমে টেকসই উন্নয়নের পরিকল্পনা নিতে হবে সরকারকে। পথচারীদের সুবিধা দিতে হবে। কমাতে হবে গাড়ির গতির দূরত্ব। মালিক অর্থনৈতিক কারণে অনেক সময়ে চালককে দ্রুত ট্রিপ ধরার তাগিদ দিয়ে থাকেন। চালকদের প্রতি মালিকদের এ ধরনের ফোর্স করা বন্ধ করতে হবে। প্রশিক্ষণ দিয়ে চালককে নিরাপদ চালক হিসেবে তৈরি করতে হবে। টায়ার, ব্রেক, ওয়াফার ইত্যাদি চেক করে রাস্তায় চালককে গাড়ি নামানোর পরামর্শ দেন এই গবেষক। বাঁকে গাছ লাগানো যাবে না এবং ইন্টারসেকশন বা সংযোগস্থলে গাছ বা স্থাপনা তৈরি করা যাবে না। সরু ব্রিজের ক্ষেত্রে সড়কে টেপারিং করা এবং গার্ড রেইল দিয়ে দেয়া। লেভেল ক্রসিংয়ে গাছপালা থাকা উচিত নয় বলে তিনি মন্তব্য করেন। রাস্তায় সাইন মার্কিং নিশ্চিত করা। তিনি বলেন, চালকদের নির্ধারিত বেতনভিত্তিক নিয়োগ করতে হবে এবং ব্যবস্থাপনায় শৃঙ্খলা আনতে হবে। দুর্ঘটনায় বছরে ৪০ হাজার কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতির বিবরণ দিতে গিয়ে তিনি বলেন, যে লোকটি মারা গেল তিনি যদি বেঁচে থাকতেন তার একটা গড় বেতন হিসাব, আবার যে আহত হলেন তার চিকিৎসা খরচ, পঙ্গুত্বের জন্য তার পরিবারের যে ক্ষতি। এবছর প্রথমবারের মতো দিবস পালন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এটা ভালো দিক। এতে মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়বে। বিষয়টি স্মরণ করবে। মানুষের মধ্যে অঙ্গীকার থাকবে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজ্জাম্মেল হক চৌধুরী  বলেন, ফিটনেসবিহীন গাড়ি ও অদক্ষ চালকের সংখ্যা বাড়ায় দুর্ঘটনার সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর সঙ্গে রয়েছে ত্রুটিপূর্ণ সড়ক। পরিবহনকে আধুনিক করতে হবে। ত্রুটিপূর্ণ লাইসেন্স দেয়া বন্ধ করতে হবে। শিশুদেরকে দিয়েও গাড়ি চালানো বন্ধ করতে হবে। সড়ক দুর্ঘটনার সঠিক কোনো পরিসংখ্যান নেই বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
আজ প্রথম বারের মতো সরকারি-বেসরকারি নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস পালন করা হচ্ছে। এবার দিবসের স্লোগান হচ্ছে ‘সাবধানে চালাবো গাড়ি, নিরাপদে ফিরবো বাড়ি।’ সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর হার কমানোর লক্ষ্যে সকলের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছেন চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন ও তার প্রতিষ্ঠিত সংগঠন ‘নিরাপদ সড়ক চাই’ (নিসচা)। জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস ঘোষণাও ছিল তার অন্যতম দাবি। চলতি বছরের জুন মাসে রাষ্ট্রীয়ভাবে এ দিবসটি পালনের ঘোষণা আসে। প্রসঙ্গত, ২৪ বছর আগে ১৯৯৩ সালের ২২শে অক্টোবর মর্মান্তিক এক সড়ক দুর্ঘটনায় ইলিয়াস কাঞ্চনের স্ত্রী জাহানারা কাঞ্চনের অকাল মৃত্যুর মধ্য দিয়ে গড়ে উঠে ‘নিরাপদ সড়ক চাই’ আন্দোলন।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© All rights reserved © 2020 SwadeshNews24
Site Customized By NewsTech.Com