আবারও ব্যাটসম্যান মাশরাফির ম্যাজিকে জিতলো রংপুর রাইডার্স। সিলেটের ছুড়ে দেয়া ১৭৪ রানের টার্গেটে দুই ওপেনারকের হারিয়ে ছয় ওভারে ৬৭ রান তুলে রংপুর। ক্রিস গেইল ৫ করে ফিরলেও অপর ওপেনার জিয়াউর রহমানের ব্যাট থেকে আসে ৩৬ রান। ৩৬ রান করতে মাত্র ১৮ বল খেলেছেন জিয়াউর। এরপরই নিয়মিত বিরতীতে উইকেট হারাতে থাকে রংপুর। এ পর্যায়ে তিন ওভারে ত্রিশ রানের প্রয়োজন পরে দলটির। তখন আবারও গুরু দায়িত্ব নিজের কাধে তুলেনেন ক্যাপ্টেন মাশরাফি। তরুন নাহিদুলকে সঙ্গে নিয়ে তিন বল বাকী থাকতেই জয় তুলে নেয় রংপুর রাইডার্স। ১০ বলে দুই ছয়ে ১৭ রানে অপরাজিত থাকে সদ্য টি-টোয়েন্টি থেকে অবসরে যাওয়া মাশরাফি। ৭ বলে ১৪ রানে অপরাজিত ছিলেন নাহিদুলও। এ জয়ে নয় ম্যাচে দশ পয়েন্ট নিয়ে সুপার ফোরে ওঠা অনেকটা নিশ্চিত হলো রংপুরের। অপরদিকে একে পর এক হারে নয় ম্যাচে সাত পয়েন্ট নিয়ে বিদায়ের দারপ্রান্তে সিটেল সিক্সার্স।
আগের তিন ম্যাচের মতো এদিনও টস জিতে আগে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন রংপুর রাইডার্সের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। শুরুটা ধীরে হলেও শেষদিকে বাবর আজম ও সাব্বির রহমানের দৃঢ়তায় ৫ উইকেটে ১৭৩ রানের বড় পুঁজি পায় সিলেট সিক্সার্স। ৫৩ রানে ফিরে যান নুরুল হাসান, নাসির হোসেন ও আন্দ্রে ফ্লেচার। তিনজনের বিদায়ে রানের চাকা সচল করতে ভূমিকা রাখে বাবর আজম ও সাব্বির রহমান জুটি। বাবরকে ব্যক্তিগত ৫৪ রানে বিদায় দিলে ভাঙে বিপজ্জনক এই জুটি। ৩৭ বলে ৪টি চার ও একটি ছয় মারা বাবর রান আউটের বলি হয়ে ফেরেন সাজঘরে। এরপর সাব্বিরও আর ইনিংস লম্বা করতে পারেননি। ১৯তম ওভারে ৪৪ রানে খেলতে থাকা সাব্বিরকে বোল্ড করেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। এই দুজন ফিরলে হুইটলি ও ব্রেসনান মিলে শেষ দিকে দ্রুত গতিতে রান তুললে ৫ উইকেটে ১৭৩ রানে থামে সিলেট। ১১ বলে ১৭ রানে ব্যাট করছিলেন হুইটলি ও ৫ বলে তুলনামূলক ঝড়ো গতিতে ব্যাট চালিয়ে ১৬ রানে অপরাজিত ছিলেন ব্রেসনান। রংপুরের হয়ে ৪ ওভারে ১৮ রান দিয়ে সফল ছিলেন নাজমুল ইসলাম। একটি নেন মাশরাফি। আর লঙ্কান টো ক্রাশার লাসিথ মালিঙ্গা ছিলেন আরও ব্যয়বহুল। ৪ ওভারে ৪৫ রান দিয়েছেন তিনি। আজকের ম্যাচে তিনটি পরিবর্তন এনেছে রংপুর। বাদ পড়েছেন শাহরিয়ার নাফীস, থিসারা পেরেরা ও সোহাগ গাজী। ফিরেছেন সামিউল্লাহ শেনওয়ারি, জিয়াউর রহমান ও নাজমুল ইসলাম। সিলেটের হয়ে ফিরেছেন পাকিস্তান থেকে যোগ দেওয়া সোহেল তানভীর, রস হুইটলি ও নাবিল সামাদ। বাদ পড়েছেন দানুশকা গুনাথিলাকা, গোলাম মোবাশ্বের খান ও তাইজুল ইসলাম।