ঝিনাইদহের শৈলকুপা থানার ওসি আলমগীর হোসেনের বিরুদ্ধে জুয়া ও মাদক ব্যবসার অভিযোগ উঠেছে। এছাড়া সাধারণ নিরীহ মানুষকে আটক করে অর্থবাণিজ্য করা হচ্ছে হরহামেশাই।
এলাকাবাসী অভিযোগ করে বলেন, ওসি আলমগীর হোসেন গত জুন মাসে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে এলাকাবাসী প্রতিনিয়ত হয়রানির শিকার হচ্ছেন। এর প্রতিবাদ করলেই মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে।
নাম না প্রকাশ করার শর্তে ভুক্তভোগীরা জানান, ওসির প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পেছনে বেবী স্টান্ডের সঙ্গে শ্রমিক নেতা আজমত শেখের ভাতিজা স্বপন, শৈলকুপা থানার ৪০০ গজ দূরে সাবেক মেম্বার দিয়ানতের বাড়িতে আরেক স্বপন ও তারিক জুয়ার বোর্ড চালায়। চৌরাস্তা মোড়ের পাশে চারা হাটে ভুট্রো ও দিলবার জোয়ার বোর্ড চালায়। কচুয়ার পালপাড়া গ্রামে দিয়ানতের বাড়িতে প্রতি রাতেই জুয়ার বোর্ড বসে।
শেখপাড়া বাজারে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়েরর চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী বকুল জোয়ার্দ্দার ইতিপূর্বে ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার হন জুয়ার বোর্ড থেকে। পুলিশের সহযোগিতার তিনিও জুয়ার বোর্ড চালান। আর এসব জুয়া ব্যবসার সঙ্গে মাদক ও অবৈধ অস্ত্রধারীরাও থাকে। জুয়ার বোর্ড প্রকাশ্যে চলায় দিনমজুর থেকে শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ প্রতিদিন নিঃস্ব হয়ে বাড়ি ফিরছেন।
শৈলকুপাবাসী এ ব্যাপারে ওসির হস্তক্ষেপ কামনা করেও কোন সহযোগীতা পাননি। তাদের ভাষায়, জুয়ার বোর্ড যারা চালান তারা ওসিকে প্রতিদিনই টাকা দেন। থানার ক্যাশিয়ারের মাধ্যমে জুয়া ও মাদক ব্যবসা চালিয়ে প্রতিদিন ১ লাখ তোলেন ওসি। শৈলকুপায় জুয়া ও মাদকের কারণে সামাজিক অবক্ষয় ও অপরাধ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
ওসির সঙ্গে চুক্তি না করে ব্যবসা করায় কচুয়ার দিয়ানতের ছেলেকে আটক করে ৬০ হাজার টাকা নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয় থানা থেকে। সম্প্রতি গাড়াগঞ্জের বিল্লালকে ২ কেজি গাঁজাসহ গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে ৭০ হাজার টাকার বিনিময়ে রফাদফা করে ২০০ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার দেখিয়ে ওসি চালান দেন। আদালত থেকে বিল্লাল তিনদিন পর জামিনে মুক্ত হন।
এ ব্যাপারে ওসি আলমগীর হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, একটি মহল সুবিধা নিতে না পেরে আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচারে নেমেছে।