প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা বলেছেন, আগামী ৩০ অক্টোবর থেকে একাদশ সংসদ নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু হবে। আগামী ডিসেম্বরের শেষের দিকে অথবা ২০১৯ সালের প্রথম দিকে যেকোনো দিন একাদশ সংসদ নির্বাচনের দিন নির্ধারণ করা হবে।
সোমবার সাতক্ষীরা সার্কিট হাউসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এসব কথা বলেন। জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব (সংস্থাপন-২) মো. শাহ আলম স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তি এসব কথা বলা হয়েছে।
কে এম নূরুল হুদা বলেন, বর্তমান সরকারের মেয়াদ ২০১৯ সালের ২৮ জানুয়ারি শেষ হবে। এ জন্য আগামী ডিসেম্বরের শেষের দিকে অথবা ২০১৯ সালের প্রথম দিকে যেকোনো দিন একাদশ সংসদ নির্বাচনের দিন নির্ধারণ করা হবে। আগামী সংসদ নির্বাচনে নিবন্ধিত সব দলই অংশ নেবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি।
সিইসি বলেন, একাদশ সংসদ নির্বাচন ইভিএম পদ্ধতি ব্যবহার হবে না। ছিটমহল, নদীভাঙন ও প্রশাসনিক জটিলতার কারণে ৬০-৭০টি আসনে সীমানা পুনর্নির্ধারণ হতে পারে বলে জানান তিনি।
নির্বাচনকালীন সরকার গঠনের কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী, আর বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে সহায়ক সরকার গঠনের কথা—আসলে কী পদ্ধতিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, এটা রাজনৈতিক বিষয়। নির্বাচন কমিশনের এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করার সুযোগ নেই। সব দলের সঙ্গে সংলাপ হয়ে গেছে। সব দলই নির্বাচনে অংশ নেবে বলে তিনি আশাবাদী।
সিনিয়র সহকারী সচিব (সংস্থাপন-২) মো. শাহ আলম স্বাক্ষরিত এক পত্রে এসব জানা গেছে, প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা সাতক্ষীরা জেলা নির্বাচন অফিস পরিদর্শন করেন।