রায়হান কবির,স্বদেশ নিউজ ২৪.কমঃ সার্টিফিকেট বা জিপিএ-৫ দিয়ে যে কিছু হয় না এটা স্বীকার করতেই হবে। বরং যারা দক্ষতা ও মূল্যবোধের চর্চা করতে পেরেছে তারাই সাফল্য পেয়েছে। বললেন দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ। আজ মঙ্গলবার বেলা সাড়ে দশটায় দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রধান কার্যালয়ের অডিটোরিয়ামে এক সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে তিনি দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে বলতে গিয়ে এ মন্তব্য করেন।
সভাপতির বক্তব্যে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, আমি স্বপ্ন দেখি আমাদের শিশুরা খেলতে খেলতে আনন্দচিত্তে শিক্ষা গ্রহণ করবে। কারণ ভয় দিয়ে কখনও শিক্ষা ও কাজ আদায় করা যায় না। আনন্দ ছাড়া যেমন কাজ করা যায় না, তেমনি শিক্ষাও গ্রহণ করা যায় না।তিনি বলেন, মূল্যবোধ ব্যতীত টেকসই উন্নয়নও সম্ভব নয়। আমরা যদি শিশুদের মাঝে নৈতিক মূল্যবোধ গ্রথিত করতে পারি, তাহলে হয়তো আমরা ৫ থেকে ১০ বছর পরে আরও বেশি হারে সুনাগরিক পাবো। ইকবাল মাহমুদ বলেন, আমাদের দেশে অনেকের দক্ষতা আছে কিন্তু মূল্যবোধ নেই। মূল্যবোধহীন দক্ষতা অনাবশ্যক।নৈতিক মূল্যবোধই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত বাংলাদেশিদের সংগঠন সিএলপি-ইউএসএ, গুণিজন ট্রাস্ট এবং কাইট বাংলাদেশের সঙ্গে এদিন দুদকের সমঝোতা স্মারক সই হয়। চেয়ারম্যান বলেন, কাইট বাংলাদেশ, গুণিজন ট্রাস্ট, সিএলপি-ইউএসএ’র মতো সামাজিক সংগঠনগুলোই সমাজ তথা দেশের চালিকাশক্তি। তাই কমিশন এসব প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে উত্তম চর্চার বিকাশে একত্রে কাজ করার অভিপ্রায়ে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে। তিনি বলেন, আমরা সম্মিলিতভাবে কাজ করতে পারলে অভীষ্ঠ লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবো। শহর ও গ্রামাঞ্চলের শিক্ষার গুণগত মান নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, গ্রামাঞ্চলের শিক্ষার বিষয়ে আমাদেরকে অধিকতর গুরুত্ব দিতে হবে।এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন দুদক কমিশনার এএফএম আমিনুল ইসলাম, কাইট বাংলাদেশ এর চেয়ারম্যান ড. অনন্য রায়হান, সিএলপি-ইউএসএ এর সভাপতি ড. মোহাম্মদ ফারুক প্রমুখ।