এএফসি কাপে টিকে থাকার মিশনে আজ মালদ্বীপের টিসি স্পোর্টসের বিপক্ষে মালেতে মাঠে নামবে সাইফ স্পোর্টিং। মালদ্বীপের রাজধানী মালেতে ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে রাত নয়টায়। বাছাই পর্বের খেলতে হলে এই ম্যাচে অন্তত ২-১ গোলে জিততে হবে সাইফকে। ১-০ তে জিতলে খেলা গড়াবে টাইব্রেকারে। দুই ম্যাচ মিলে জিতলে সাইফ স্পোর্টিং ক্লাবকে খেলতে হবে ভুটানের ট্রান্সপোর্ট ইউনাইটেড ও ভারতের ব্যাঙ্গালুরু এএফসির মধ্যেকার বিজয়ী দলের সঙ্গে। এই দুই দলের প্রথম ম্যাচ গোলশূণ্য ড্র হয়েছে।দুই দলের ফিরতি ম্যাচ আজ সন্ধ্যায় বেঙ্গালুরুতে। সাইফ স্পোর্টিং ক্লাবকে এএফসি কাপের গ্রুপ পর্বে খেলতে হলে এই দুই ধাপ টপকাতে হবে। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ চ্যাম্পিয়ন আবাহনী সরাসরি খেলছে গ্রুপ পর্বে।
এএফসি কাপের কোয়ালিফাইং প্লে-অফে ঘরের মাঠে সাইফ ১-০ গোলে হেরেছে মালদ্বীপের টিসি স্পোর্টসের কাছে। অথচ ওই ম্যাচে সাইফ জিততে পারতো তিন-চার গোলের ব্যবধানে। একের পর এক সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেনি। স্বাগতিকদের চার চারটি আক্রমণ ফিরে এসেছে ক্রসবারে লেগে। টুর্নামেন্টে টিকে থাকতে হলে আজ অসাধারণ কিছু করে দেখাতে হবে বাংলাদেশের ক্লাবটিকে। ফিরতি পর্বের ম্যাচের জন্য একাধিক খেলোয়াড় অদল-বদল হয়েছে। উইঙ্গার জাহিদ হোসেনের জায়গায় তরুণ মতিন মিয়া সুযোগ পেয়েছেন। এছাড়া চট্টগ্রাম আবাহনীর স্ট্রাইকার তৌহিদুল আলম সবুজও আছেন দলে। ঘরের মাঠে সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব পায়নি তাদের অতিথি খেলোয়াড়দের অন্যতম চট্টগ্রাম আবাহনীর এই ফরোয়ার্ড। প্রথম বাবা হওয়া এ স্ট্রাইকার ছুটিতে ছিলেন কয়েক দিন। সবুজ স্বাধীনতা কাপে খাদের কিনারায় পড়ে যাওয়া চট্টগ্রাম আবাহনীকে উদ্ধার করেছেন শেষ মুহূর্তে নাটকীয় এক গোল করে। শেষ হওয়া বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগে স্থানীয়দের মধ্যে সর্বাধিক গোল করা এ স্ট্রাইকারকে নিয়ে আশাবাদী সাইফ স্পোর্টিং ক্লাবের টিম ম্যানেজমেন্ট। সাইফ স্পোর্টিং ক্লাবের ইংলিশ ফরোয়ার্ড চার্লি শেরিংহাম এবং মোহামেডান থেকে ধারে নেয়া নাইজেরিয়ান এনকোচা কিংসলের সঙ্গে সবুজ যোগ হওয়ায় দলটির আক্রমণভাগের শক্তি আরো বাড়াবে বলে বিশ্বাস তাদের। সাইফের উপদেষ্টা ও কোচ মারুফুল হক এই ম্যাচ নিয়ে আশার কথা শুনিয়েছেন, ‘কিছু ভুল-ত্রুটির কারণে আমরা ঢাকার ম্যাচে জিততে পারিনি। আশা করছি মালেতে সেটা কাটিয়ে উঠতে পারবো। আমাদের পক্ষে ম্যাচ জেতা সম্ভব। সেভাবেই দলকে দিক-নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’
সাইফ স্পোর্টিংয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাসিরউদ্দীন চৌধুরী অবশ্য কিছুটা ক্ষুব্ধ। মালদ্বীপে দলের সঙ্গে থাকা এ কর্মকর্তা ফোনে বলেন, ‘আমরা যেভাবে ওদের সুবিধা দিয়েছি, সেই অনুযায়ী তারা আমাদের ফল দিতে পারছে না। সবকিছুতেই কেন জানি সীমাবদ্ধতা। আসলে ওদের (টিসি স্পোর্টিং) ক্লাবের বাজেট শুনে অবাক হয়েছি- এক কোটি ৬০ লাখ টাকা। আর আমাদের ১২ কোটি!’ ম্যাচকে ঘিরে গতকাল ভেন্যুতে অনুশীলন করেছে সাইফ স্পোর্টিং। শেষবারের মতো শিষ্যদের ম্যাচ ভেন্যুতে তামিল দিয়েছেন সাইফের কোচ রায়ান নর্থমোর। এই ম্যাচে তার টার্গেট থাকবে দ্রুত গোল করা। এ জন্য আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলার কথা জানিয়েছেন সাইফের এই আইরিশ কোচ। ফিরতি ম্যাচ জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী সাইফের দেশি ফরোয়ার্ড তৌহিদুল আলম সবুজ। চট্টগ্রাম আবাহনী থেকে লোনে খেলতে আসা এই ফুটবলার মালদ্বীপ থেকে মুঠোফোনে জানান, ঢাকার ম্যাচের ৭৫ ভাগ খেলতে পারলেই ২-৩ গোলে জিতবে সাইফ। এখন দেখা যাক মাঠে কতটুকু সামর্থ্যের বাস্তবায়ন ঘটাতে পারে তারা।