প্রিন্স,স্বদেশ নিউজ২৪ ডটকমঃ লাক্স চ্যানেল আই সুপার স্টারখ্যাত মডেল, অভিনেত্রী ও বাংলাদেশের আইটেম গানের নতুন ধারর এক সফল নাম বিপাশা কবির।২০০৯ এর শেষের দিকে মিডিয়াতে আগমন বিপাশা কবিরের। “লাক্স চ্যানেল আই সুপারস্টার ২০০৯” প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহনের পর বেশি দুর যেতে পারেননি। লাক্স চ্যানেল আই সুপারস্টার ২০০৯” প্রতিযোগিতা থেকে বের হয়ে বেশকিছু নাটকে ও টিভিসিতে কাজ করেন তিনি।
২০১২ সালে প্রথম জাজ মাল্টিমিডিয়ার ব্যানারে “ভালবাসার রং” চলচ্চিত্রে একটি আইটেম গান দিয়ে চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টদের নজরে আসেন বিপাশা। এর পর বিপাশার আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। এর পরে আইটেম গানে পারফর্ম করে লাখো দর্শকের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছেন , আইটেম গার্ল হিসেবে।তিনই বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের আইটেম গানে সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক পাওয়া অভিনেত্রী। তিনি এখন চলচ্চিত্রে আইটেম গানে নিয়মিত কাজ করছেন না। শুধু মাত্র বিগ বাজেটের আইটেম গান পেলেই তিনি কাজ করছেন।
২০১৬ সালে ‘গুন্ডামী’ সিনেমায় প্রথম নায়িকা হিসেবে চলচ্চিত্র জগতে আত্মপ্রকাশ করেন বিপাশা।এর পর ‘বাজে ছেলে-দ্য লোফার’/ ‘খাস জমিন’/ ‘ক্রাইম রোড’সিনেমা সহ এখন পর্যন্ত নায়িকা হিসেবে বিপাশার ৬টি ছবি মুক্তি পেয়েছে।
আইটেমগাল হিসেবে নয়, নায়িকা হিসেবে নিজেকে অভিষেকের ইচ্ছেটাই বেশি ছিল বিপাশার। জাজ মাল্টিমিডিয়ার একটি একশান সিনেমা দিয়েই মূলত তার চলচ্চিত্রে আসার কথা ছিল। পরবর্তীতে অনেকটা সখের বশেই আইটেম গানে আমার কাজ করেন তিনি। “ভালবাসার রং” সিনেমার “প্রেম রসিয়া” তার প্রথম আইটেম গানটি সফল হয়েছিল। তারপর আস্তে আস্তে দর্শকদের কাছে জনপ্রিয়তা ও চাহিদা বাড়াতেই থাকে। তাই এত বেশি সিনেমায় একজন আইটেম গার্ল হিসেবে তার কাজ করা।
আপাতত তিনি নতুন কোন নাটক নিয়ে কাজ করছেন না বিপাশা।এমন কি নতুন কোন নাটকে কোন চুক্তিবদ্ধ ও হচ্ছেন না। নাটক নিয়ে আপাতত তার কোন পরিকল্পনা ও নেই। তার সব পরিকল্পনা এখন চলচ্চিত্রকে ঘিরে। তবে ছোট পর্দায় কোন ভালো গল্প এবং চরিত্র পেলে অবশ্যই করবেন বলে তিনি বলে তিনি জানান। চলচ্চিত্র নিয়ে পরিকল্পনা প্রসঙ্গে বিপাশা বলেন, ‘চলচ্চিত্রের যে কাজগুলো করবো সেগুলো মন দিয়ে করতে চাই। তাছাড়া ২০১৮ সালে মানসম্মত কিছু কাজ করতে চাই। দর্শকদের জন্য যেন ভালো কিছু দিতে পারি।’
জাজ মাল্টিমিডিয়ার যৌথ প্রযোজনা নিয়ে আপনার বিপাশার মতামত জানতে চাইলে তিনি বলেনঃ আসলে চলচ্চিত্রে আমার অভিষেক হয়েছিল জাজ মাল্টিমিডিয়া দিয়ে। বাংলাদেশী চলচ্চিত্রে তাদের অবদান অনেক। তারা বলেছে যে, দেশীয় ছবিতে তারা বিনিয়োগ করে লাভবান হতে পারছেনা বলে দেশীয় চলচ্চিত্রে আর বিনিয়োগ করতে চাচ্ছেন না। । জাজের মত একটি প্রতিষ্ঠানের জন্য আমরা নুসরাত ফারিয়া, মাহিয়া মাহি, সাইমন সাদিক, বাপ্পি, ববির মত অভিনেতা অভিনেত্রীদের পেয়েছি। যৌথ প্রযোজনা ছাড়াও অগ্নি, পোড়ামন এর মত চলচ্চিত্র সফলতার মুখ দেখেছে। প্রায় যৌথ প্রযোজনার ছবিতে বাইরের কো-আর্টিস্ট, টেকনিশিয়ান, মেকাপ-ম্যানদের প্রাধান্য দেওয়া হয়। দেশীয় চলচ্চিত্রে এতদিন যারা কাজ করে এসেছে তারা দিন দিন কাজের শূন্যতায় ভুগছে। জাজ এর চলে যাওয়া মানে ইন্ডাস্ট্রি থেকে একটি বড় সাপোর্ট সরে যাওয়া। আমি ব্যাক্তিগত ভাবে মনে করি, দেশীয় ছবিতে বিনিয়োগ না করাটা কোন ভাবেই ভালো একটা সিদ্ধান্ত হতে পারে না। আমরা কখনই চাইবো না জাজ আমাদেরকে ছেড়ে চলে যাক।