রোববার বেলা সাড়ে ৩টার দিকে ঢাকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। গেলো ২৬ দিন ধরে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে জানান তার একমাত্র ছেলে রিয়াজ আহমেদ হিমন জানান।
রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ঝন্টুর বয়স হয়েছিল ৬৬ বছর।
গত ৩১ জানুয়ারি স্ট্রোক করলে ঝন্টুকে রংপুর নগরীর সেন্ট্রাল ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। ক্লিনিকের ডাক্তার তোফায়েল হোসেন ভূঁইয়া জানিয়েছিলেন, মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের কারণে ঝন্টুর বাম হাত ও পা অনুভূতিহীন হয়ে গেছে।
পরদিন এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে তাকে ঢাকায় ল্যাব এইড হাসপাতালে আনা হয়। পরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যাল হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
২০১২ সালের ২০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত রংপুর সিটি করপোরেশনের প্রথম নির্বাচনে মেয়র নির্বাচিত হন রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা সদস্য সরফুদ্দীন আহমেদ ঝন্টু। গেলো ২১ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয়ে লড়লেও, জাতীয় পার্টির প্রার্থীর কাছে বিপুল ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হন তিনি।
সিটি করপোরেশনের মেয়র ছাড়াও ঝন্টু এরআগে জাতীয় পার্টির হয়ে রংপুর-১ (গঙ্গাচড়া) আসন থেকে এমপি, রংপুর সদর উপজেলা চেয়ারম্যান এবং রংপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান ছিলেন।