প্রশ্ন ফাঁস ঠেকাতে ব্যর্থতা স্বীকার করতে মন্ত্রীরা নারাজ হলেও বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ বলেছেন, সরকার চাইলেই তা ঠেকাতে পারে।
বুধবার দশম সংসদের ১৯তম অধিবেশনের সমাপনী বক্তব্যে তিনি বলেন,সরকার পারে না এমন কোনো কাজ নেই। সরকার কেন এই প্রশ্ন ফাঁস বন্ধ করছে না? শিক্ষামন্ত্রীকে যদি এটা নিয়ে প্রশ্ন করা হয় তাহলে তিনি কী জবাব দেবেন?
গত কয়েক বছর ধরেই পাবলিক পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁস আলোচিত ঘটনা। চলতি এসএসসি পরীক্ষায় প্রায় সব বিষয়ের প্রশ্নই পরীক্ষার আগে ফেইসবুকে আসে।
বিরোধীদলীয় নেতা রওশন বলেন,বার বার কেন প্রশ্ন ফাঁস হচ্ছে, আমরা বুঝতে পারছি না। সৌদি আরব থেকে ফাঁস হওয়া প্রশ্ন সবাইকে জানানো হচ্ছে। এটা বন্ধ হবে কবে?
প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনায় প্রশ্নপত্র প্রণয়নের সঙ্গে জড়িতদের দায়ী করেন রওশন।
জাতীয় পার্টিকে ‘গঠনমূলক বিরোধী দল’ বলে প্রধানমন্ত্রী প্রশংসার পর বর্তমান সরকারকে অতীতের তুলনায় সফল বলে দাবি করেন রওশন।
তিনি বলেন, অতীতে কোনো সংসদই শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়নি। একমাত্র এই সংসদই শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়েছে। সরকারকে হরতাল-অবরোধ-আন্দোলন মোকাবিলা করতে হয়নি।
রওশন বলেন,এই সরকারের আমলে যত উন্নয়ন হয়েছে, অতীতে তা হয়নি। আমরা সাহায্য-সহযোগিতা করেছি বলে উন্নয়ন হয়েছে। তবে এজন্য আমাদের অনেক সমালোচনা শুনতে হয়েছে।
বিএনপিবিহীন সংসদে জাতীয় পার্টি বিরোধী দলের আসন নিয়ে সরকারেও যোগ দেয়ায় সংসদে তাদের কার্যকর ভূমিকা পালন নিয়ে বরাবরই প্রশ্ন উঠেছিল। বিএনপি তাদের বলে আসছে ‘গৃহপালিত বিরোধী দল’।
রওশন নিজেও একদিন আগে তার দলের নেতাদের মন্ত্রিসভা থেকে বাদ দিতে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
রওশন তার বক্তব্যের শুরুতেই যানজটের কারণে সংসদে আসতে তার দেরি হওয়ার কথা উল্লেখ করে বলেন,যানজটে বছরে ৩২ লাখ কর্মঘণ্টা নষ্ট হচ্ছে। ৫৮ হাজার কোটি টাকা বছরে ক্ষতি হচ্ছে। এটা না হলে আমাদের প্রবৃদ্ধি ৭/৮ ছাড়িয়ে যেত।