রাত পোহালেই পহেলা বৈশাখ। বর্ণিল উৎসবের মাধ্যমে জীর্ণ-পুরাতনকে পেছনে ফেলে সম্ভাবনার নতুন বছরে প্রবেশ করবে বাঙালি জাতি। প্রাণের উৎসবকে নির্বিঘ্ন করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রতিবছরের মতো এবারও সজাগ রয়েছে। নেয়া হয়েছে তিন স্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থা। জানালেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। শুক্রবার বিকেলে পহেলা বৈশাখের মূল কেন্দ্র রমনা পার্ক পরিদর্শনে আসেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। তার সঙ্গে ছিলেন পুলিশ ও র্যাবের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, বাঙালির এ প্রাণের উৎসবকে ঘিরে রমনা পার্কসহ বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার পুরোটাই ঢেকে দেয়া হয়েছে নিরাপত্তার চাদরে। পুরো রমনা পার্ক তল্লাশি করছে ডগ স্কোয়াড ইউনিট। নিরাপত্তার স্বার্থে সাধারণ মানুষকে ভেতরে প্রবেশ করতে দিচ্ছে না আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। কোন রকম অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে তাৎক্ষনিকভাবে ব্যবস্থা নিতে রমনা বটমূল ও আশপাশ এলাকায় নিরাপত্তা মহড়া দেয় র্যাবের কয়েকটি ইউনিট। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশ ও র্যাবের পাশাপাশি রয়েছে গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা। সার্বিক নিরাপত্তা ও নজরদারি নিশ্চিত করতে বসানো হয়েছে কন্ট্রোল রুম, অবজারভেশন পোস্ট ও চেক পোস্ট। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের পাশাপাশি থাকছে গোয়েন্দা দলের সদস্য, বোমা ডিসপোজাল টিম ও মেডিকেল টিম।স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, পুরো এলাকা সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে। কোনো অঘটন যেন না ঘটে সেজন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। শুধু ঢাকা নয় বর্ষবরণকে কেন্দ্র করে দেশব্যাপী নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে।