দিনাজপুর প্রতিনিধি,স্বদেশ নিউজ২৪.কম:দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলা বর্তমানে শিক্ষানগরী হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। এখানে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে শিক্ষার্থীরা আসছে লেখাপড়া করতে। এরই ধারাবাহিকতায় কারেন্টহাট ডিগ্রি কলেজে এবছর এইচএসসি পরীক্ষায় ডিজিটাল পদ্ধতিতে মনিটরিং করা হচ্ছে। এ লক্ষ্যে প্রতিটি রুমে বসানো হয়েছে অনলাইন ক্যামেরা। অনলাইন মনিটরিংয়ের মাধ্যমে উপজেলা প্রসাশন, জেলা প্রশাসন ও শিক্ষাবোর্ড কর্তৃপক্ষ স্ব-স্ব-স্থান থেকেই পর্যবেক্ষন করছেন। এ মনিটরিংয়ের কারণে দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষকসহ অন্যান্য কর্মচারীরা নিষ্ঠার সাথে কাজ করছেন।
ডিজিটাল মনিটরিং করায় পরিক্ষার্থীরা পূর্বের তুলনায় অনেক বেশি প্রস্তুতি নিয়ে পরীক্ষার হলে আসছেন। কেন্দ্র সচিব ও প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ মো. জালালউদ্দিন মজুমদার বলেন, মাত্র ৭০ হাজার টাকায় ১৬টি অনলাইন ক্যামেরা, ২টি রাউটার, ২২ ইঞ্চি মনিটরসহ অন্যান্য যন্ত্রপাতি এবং সংযোগসহ এ সিস্টেম চালু করা হয়েছে।
কক্ষ পরিদর্শক ওবায়দুর রহমান বলেন, ডিজিটাল মনিটরিং থাকায় পরিক্ষার্থীরা এখন সচেতন। অনলাইন সি্েটম চালু থাকায় পরীক্ষা হলের পরিবেশ সর্বদা শান্ত থাকছে। না প্রকাশে অনিচ্ছুক ক’জন পরীক্ষার্থী জানান, ৩/৪ মাস আগে থেকে ওই পদ্ধতির ব্যাপারে জানালে আমরা আরো উপকৃত হতাম। চিরিরবন্দর মহিলা কলেজের এক শিক্ষক জানান, কেন্দ্র সচিব হঠাৎ কওে ওই সিস্টেম চালু করায় ওই কেন্দ্রের ফলাফল বিপর্যয় ঘটতে পারে। স্থানীয় ক’জন বিদ্যোৎসাহী ব্যক্তি জানান, এটি একটি সাহসী পদক্ষেপ। সব কেন্দ্রেই এ পদ্ধতি চালু করা জরুরি। উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. গোলাম রব্বানী, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা াফিসার মো. মনজুরুল হক ও সহকারী প্রোগ্রামের মো. ওহিদুল ইসলাম সার্বিকভাবে সহযোগিতা করেছেন।
উপজেলা ম্যাধমিক শিক্ষা অফিসার মো. মনজুরুল হক বলেন, পর্যায়ক্রমে সব কেন্দ্রেই ডিজিটাল পরীক্ষা চালু করা হবে। ভিশন-২০২১ ও ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে ও শিক্ষার মনোন্নয়নে ডিজিটাল পরীক্ষা পদ্দতি অগ্রণী ভুমিকা পালন করবে। উপজেরা আইসিটি কর্মকর্তা ও কেন্দ্রের ট্যাগ অফিসার ওহিদুল ইসরাম বলেন, কেন্দ্রের পরিবেশ ভাল রাখতে সিসি ক্যামেরায় পরীক্ষা পর্যবেক্ষণ অতিব জরুরি। দিনাজপুর শিক্ষাবোর্ডেও পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. তোফাজ্জুর রহমান বলেন, এটি একটি প্রশংসনীয় উদ্যোগ। মেধাবি জাতি গঠনে কার্যকর ভূমিকা রাখবে।