ইসলামিক সলিডারিটি আরচারি চ্যাম্পিয়নশিপের চার ইভেন্টে সেমিফাইনালে উঠেছেন বাংলাদেশের আট আরচার। রিকার্ভ পুরুষ এককে বাংলাদেশের রোমান সানা ও তামিমুল ইসলাম, কম্পাউন্ড মহিলা এককে রোকসানা আক্তার শেষ চার নিশ্চিত করেছেন। রিকার্ভের পর কম্পাউন্ডেও সেমিফাইনালে চার জনের তিনজন বাংলাদেশের। এক সেমিফাইনালে প্রতিদ্বন্দ্বী অসীম কুমার দাস-মিলন মোল্লা আরেক সেমিফাইনালে আবুল কাশেম মামুনের প্রতিপক্ষ ইরাকের ওয়ালিদ হামিদ।
রিকার্ভ পুরুষ এককে বাংলাদেশের মো. রুমান সানা সৌদি আরবের ‘আলভী মানসুর ফাহাদ এম. কে ৬-০ সেট পয়েন্টের ব্যবধানে, বাংলাদেশের মোহাম্মদ তামিমুল ইসলাম সৌদি আরবের ‘আলোতাইবি ফেয়ার মেটার’ কে ৬-৫ সেট পয়েন্টের ব্যবধানে, এস্তোনিয়ার ‘উনা মার্ট’ তুরস্কের ‘বেরেকেত বুকার’ কে ৬-০ সেট পয়েন্টের ব্যবধানে, সৌদি আরবের ‘বিনালী আবদালেল্লাহ্থ বাংলাদেশের মো. ইব্রাহিম শেখ রেজোয়ানকে ৬-০ সেট পয়েন্টের ব্যবধানে হারিয়ে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছেন। এদিকে কম্পাউন্ড মহিলা এককে বাংলাদেশের রোকসানা আক্তার মরক্কোর ‘এল ফাইয়াজ সৌদ’কে ১৩৯-১৩৫ স্কোরের ব্যবধানে, বাংলাদেশের বন্যা আক্তার একই দেশের রিতু আক্তারকে ১৩২-১৩০ স্কোরের ব্যবধানে, ইরাকের ‘আলমাসহাদানী ফাতিমাহ’ বাংলাদেশের সুমা বিশ্বাসকে ১৪২-১৩৫ স্কোরের ব্যবধানে এবং এস্তোনিয়ার ‘হোইম এমিলী’ নেপালের ‘প্রাশাদা আচার্য্য’ কে ১৩৯-১৩৩ স্কোরের ব্যবধানে হারিয়ে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেন।
এদিন মওলানা ভাসানি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত এই আসরে রুমান সারা সরাসরি জিতলেও তামিমুলকে কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে। তামিমুল টাইব্রেকে সৌদি আরবের আলোতাইবিকে হারিয়ে সেমিফাইনালে উঠেছেন।সেমিফাইনালে উঠার পর তামিমের প্রতিক্রিয়ায় বলেন,‘ কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পড়তে হবে জানতাম। আত্মবিশ্বাস ছিল পারবো। টাইব্রেকে মনোযোগটা ধরে রেখেছি।’ প্রতিদ্বন্দ্বিতা সম্পর্কে তিনি বলেন,‘ দু’ দিক থেকে বাতাস হচ্ছিল। এজন্য একটু বেশি প্রতিকূল পরিস্থিতিতে ছিলাম।’ সেমিফাইনালে উঠায় পদকের খুব কাছাকাছি। পদক নিয়ে তামিমুলের ভাবনা,‘ প্রথমে ফাইনালে জায়গা করে নিতে চাই। এরপর পদক নিশ্চিতের চেষ্টা। ’ সেমিফাইনালে তামিমুলের প্রতিদ্বন্দ্বী সৌদি আরবের আব্দুল্লাহ বেন আলী। প্রতিপক্ষ সম্পর্কে তেমন ধারণা নেই তামিমের,‘ সব প্রতিপক্ষই সমান। নিজের সেরাটা দিতে হবে।’ রুমান সানার প্রতিপক্ষ এস্তোনিয়ার মার্ত ওনা। মহিলা রিকার্ভ ব্যক্তিগত ইভেন্টে শুধুমাত্র নাসরিন সেমিফাইনালে উঠেছেন। নাসরিন বলেন,‘ সেমিফাইনালে উঠতে পেরে ভালো লাগছে। তবে সেমিফাইনালটি আজই হলে ভালো হতো। কারণ আজ যে ছন্দ ও গতি রয়েছে কাল নাও থাকতে পারে।’ এদিকে রিকার্ভের পর কম্পাউন্ডেও সেমিফাইনালে উঠেছে বাংলাদেশ। কম্পাউন্ড সেমিফাইনালে চারজনের তিনজন বাংলাদেশের। এক সেমিফাইনালে প্রতিদ্বন্দ্বী অসীম কুমার দাস-মিলন মোল্লা আরেক সেমিফাইনালে আবুল কাশেম মামুনের প্রতিপক্ষ ইরাকের ওয়ালিদ হামিদ। কম্পাউন্ড মহিলা বিভাগে বাংলাদেশের খানিকটা দুর্ভাগ্য। দুই বাংলাদেশি একই সেমিফাইনালে পড়েছে। রোকসানা ও বন্যা একে অপরের মুখোমুখি হবেন। সেমিফাইনাল নিশ্চিত করে অসীম বলেন, কোয়ালিফাইংয়ে ৬৯৬ মেরেছিলাম। আসলে প্রথমটা ৬০-৬০ হওয়ার কারণে ভালো হয়ে গেছে। পরে বাতাসের সঙ্গে আমার শুটিং দুর্বল হয়ে গিয়েছিল। শেষের দিকে আবার ভালো হয়েছে। হয়তো একটু চাপ নিয়ে ফেলেছিলাম-পরেরটাও ভালো করবো। মোল্লা ভাইয়ের সঙ্গে খেলবো। বিকেএসপিতে মোল্লা ভাইয়ের কাছে ব্রোঞ্জ ম্যাচে হেরেছিলাম। দেখাযাক এখানে কি হয়।