গত বৃহস্পতিবার হুট করেই উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে পূর্ব নির্ধারিত বৈঠক বাতিল করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প । কিন্তু এখন তিনি বলছেন, বৈঠক হতেও পারে।
২৫ মে, শুক্রবার হোয়াইট হাউসে এক বক্তব্যে এ কথা বলেন ট্রাম্প, জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা ।
ট্রাম্পের বৈঠক বাতিলের সিদ্ধান্ত জানার পর উত্তর কোরিয়ার উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী কিম গিয়ে গোয়ান জানান,যে কোনো সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বসতে রাজি রয়েছে উত্তর কোরিয়া। এ কথা জানার পর ট্রাম্প বলেন, ‘আমরা তাদের সঙ্গে (উত্তর কোরিয়া) কথা বলছি। তারা এটা (বৈঠক) করতে চায়। আমরাও করতে চাই।’
১২ জুন সিঙ্গাপুরে বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। ট্রাম্প আভাস দিয়েছেন, নতুন করে আলোচনার পর ওই দিনেই উত্তর কোরিয়া-যুক্তরাষ্ট্র বৈঠক হতে পারে।
২৩ মে, বৃহস্পতিবার এক চিঠির মাধ্যমে উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রনেতা কিম জং উনের সঙ্গে পূর্ব নির্ধারিত বৈঠক বাতিল করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বৈঠকটি বাতিলের কারণ হিসেবে ট্রাম্প জানান, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি প্রকাশ্য শত্রুতার মনোভাব দেখিয়েছে উত্তর কোরিয়া।
ট্রাম্প বৈঠক বাতিল করার পর বিভিন্ন ধরনের প্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে-ইন জানান, তিনি এ ঘটনায় কিংকর্তব্যবিমূঢ়।
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস মন্তব্য করেন, উত্তর কোরিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্রের হাল ছেড়ে দেওয়া উচিত নয়, এ ক্ষেত্রে ‘ইস্পাতের স্নায়ু’ প্রয়োজন।
এরই প্রেক্ষিতে ২৩ মে, বৃহস্পতিবার উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমে উত্তর কোরিয়ার উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী কিম গিয়ে গোয়ান জানান, ট্রাম্পের সঙ্গে যে কোনো সময় আলোচনায় বসতে রাজি তারা। তার এই মন্তব্যের পরই নিজের সুর পাল্টেছেন ট্রাম্প।