মাদারীপুর জেলা সদরের সাব-রেজিস্ট্রার মো. জাহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে ভুয়া সনদে চাকরি নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এইচএসসি পাস করে বিকম পাসের ভুয়া সনদে সরকারের এ পদে চাকরি নিয়ে এই কর্মী ৮ বছরে প্রায় ২৪ লাখ টাকা তুলেছেন বলে জানিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক।
কমিশন বলছে, জাহিদুল ইসলাম গোপালগঞ্জ পৌরসভার আ. মান্নান খানের ছেলে। তিনি মাদারীপুর জেলা সদরের সাব-রেজিস্ট্রার। ওই অপরাধের অভিযোগ এনে তার বিরুদ্ধের দুদকের পক্ষ থেকে আজ দুটি মামলা করা হয়েছে।
দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণবকুমার ভট্টাচার্য আরটিভি অনলাইনকে বলেন, এইচএসসি পাস হওয়া সত্ত্বেও অসৎ উদ্দেশ্যে ক্ষমতার অপব্যবহার করে অপরাধমূলক অসদাচরণ, প্রতারণা ও জালিয়াতির আশ্রয় গ্রহণ করেন। তিনি বিকম পাশের জাল, ভুয়া সনদ তৈরি বা সংগ্রহ করে ওই জাল সনদকে খাঁটি হিসেবে ব্যবহার করেছেন।
‘বিকম পাসের ভুয়া বা মিথ্যা তথ্য দিয়ে সংস্থাপন মন্ত্রণালয় হতে সাবেক মুজিবনগর কর্মচারী হিসেবে চাকরিতে পুনঃ মনোনয়ন নিয়ে সাব-রেজিস্ট্রার হিসেবে যোগদান করেন।’
দুদকের উপসহকারী পরিচালক আহামদ ফরহাদ হোসেন বাদি হয়ে মামলা দুটি করেছেন। একটি মামলা হয়েছে শাহবাগ থানায়, আরেকটি গোপালগঞ্জ সদর থানায়।
মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সাব-রেজিস্ট্রার হিসেবে চাকরিতে যোগদান করে জাহিদুল ইসলাম ৮ বছরে ২৩ লাখ ৫৬ লাখ ৭৯৬ টাকা অবৈধভাবে তুলেছেন।
তার বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ সরকারি কর্মচারি হওয়া সত্ত্বেও অসৎ উদ্দেশ্যে অপরাধমূলক অসদাচরণ, প্রতারণা ও জাল-জালিয়াতির আশ্রয় গ্রহণ জাহিদুল আসল নাম পরিবর্তন করে ভুয়া নামে জন্ম নিবন্ধন সনদ নিয়ে ব্যাংক হিসাব ও বিও অ্যাকাউন্ট খুলেছেন।