শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে দেহ ব্যবসায় রাজি না হওয়ায় অন্তঃসত্ত্বা কুলসুম বেগম নামে এক গৃহবধূর হাতের কবজি কেটে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ওই গৃহবধূর স্বামী লিটনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
১০ জুলাই, মঙ্গলবার দুপুরে শেরপুর সদর সার্কেলের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আমিনুল ইসলাম এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত এক বছর আগে ঝিনাইগাতী উপজেলা সদরের কসাইপাড়া গ্রামের লিটন মিয়ার সঙ্গে কুলসুম বেগমের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের দাবিতে কুলসুমের ওপর চাপ দিতে থাকেন লিটন মিয়া। একপর্যায়ে যৌতুকের দাবি পূরণ করতে না পারায় কুলসুমকে দেহ ব্যবসায় জড়ানোর চেষ্টা করেন তিনি।
স্বামীর কথামতো দেহ ব্যবসায় রাজি না হলে গত ১৩ জুন বিকেলে কুলসুমের স্বামী লিটন মিয়া ও তার অন্য ভাইয়েরা কুলসুমের ওপর অমানুষিক নির্যাতন চালান। একপর্যায়ে লিটন ধারালো দা দিয়ে কুলসুমের ডান হাতের কবজির উপর থেকে কেটে বিচ্ছিন্ন করে দেন।
এ ঘটনায় ৩ জুলাই কুলসুম বেগম বাদী হয়ে শেরপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে স্বামী লিটনসহ ছয়জনের নামে মামলা করেন। এরই প্রেক্ষিতে ৯ জুলাই রাতে জেলার নতুন বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে লিটনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
এ ব্যাপারে শেরপুর জেলা পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. আমিনুল ইসলাম তার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে গণমাধ্যমকর্মীদের জানান, বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর সংশ্লিষ্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশনা দেওয়া হয়।
মো. আমিনুল ইসলাম আরও জানান, পুলিশের আন্তরিকতায় নির্যাতিতা নববধূ কুলসুম বেগমের ৩ জুলাই দায়ের করা মামলার ছয় দিন পর লিটন মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং মামলার অন্য পাঁচ আসামিকে দ্রুত গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে লিটন মিয়াকে আদালতে সোপর্দ করা হয় বলে তিনি উল্লেখ করেন।