খাগড়াছড়িতে এবার খুন হলেন শান্তি জীবন চাকমা (৪০) নামে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (জেএসএস-এমএন লারমা) এক কর্মী। ইউপিডিএফ কর্মী জ্ঞানেন্দু চাকমা নিহত হওয়ার তিন দিনের মাথায় প্রতিপক্ষের হামলায় তিনি নিহত হন।
রোববার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে মাটিরাঙ্গা উপজেলার তাইন্দং ইউনিয়নের সর্বস্বের পাড়ায় এই ঘটনা ঘটে। নিহত শান্তি জীবন চাকমা একই গ্রামের রাঙ্গাচোখা চাকমার ছেলে। এ ঘটনার জন্য প্রসীত বিকাশ খীসা সমর্থিত ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টকে (ইউপিডিএফ) দায়ী করেছে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস-এমএন লারমা)।
সূত্র জানায়, শান্তি জীবন চাকমা নিজের বাড়িতেই ছিলেন। সকালের দিকে তিনি ঘর থেকে বের হলে সন্ত্রাসীরা তাকে হত্যার চেষ্টা করে।সন্ত্রাসীরা তাকে হত্যার চেষ্টা করে।
তিনি পালিয়ে যাওয়ার সময় বাড়ির নিচে পাহাড়ের পাদদেশে তাকে গুলি করা হয়। পরে গলাকেটে হত্যা নিশ্চিত করে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। তাইন্দং ইউপি চেয়ারম্যান মো. হুমায়ন কবীর জানান, রোববার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। গুলি করার পর তাকে গলাকেটে হত্যা করা হয়। পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (জেএসএস-এমএন লারমা) কেন্দ্রীয় সহ তথ্য ও প্রচার সম্পাদক প্রশান্ত চাকমা জানান, ইউপিডিএফ (প্রসীত) এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। শান্তি জীবন চাকমা জেএসএসের (এমএন লারমা) অঙ্গসংগঠন যুব সমিতির সক্রিয় সদস্য।
ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট-ইউপিডিএফের কেন্দ্রীয় সংগঠক মাইকেল চাকমা জানান, এই ঘটনার সঙ্গে ইউপিডিএফ কোনোভাবেই জড়িত নয়। মাটিরাঙ্গা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সৈয়দ মো. জাকির হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পৌঁছেছে।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার প্রতিপক্ষের সন্ত্রাসীদের গুলিতে জ্ঞানেন্দু চাকমা (৪০) নামে এক ইউপিডিএফ কর্মী নিহত হন। এছাড়া শুক্রবার খাগড়াছড়ি জেলা সদরে ইউপিডিএফ সমর্থিত উপজেলা চেয়ারম্যান চঞ্চুমনির উপর সন্ত্রীসারা হামলা করে।