তথ্য প্রযুক্তি আইনের একটি মামলায় গ্রেপ্তার অভিনেত্রী কাজী নওশাবা আহমেদের মুক্তির দাবিতে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন অভিনয় শিল্পী সংঘের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও সংঘের অন্য নেতৃবৃন্দ। আজ সন্ধ্যা সাতটার দিকে সংঘটির নেতৃবৃন্দ একসঙ্গে এ দাবির কথা জানান। ফেসবুকের ওই স্ট্যাটাসে তারা লেখেন, ‘কাজী নওশাবা আহমেদ গত ০৪.০৮.১৮ তারিখে শিক্ষার্থীদের নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলন চলাকালীন সময়ে ভুল তথ্য দ্বারা প্রভাবিত হয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যে লাইভ ভিডিওটি শেয়ার করেন তা যে পুরোপুরি ভুল ছিলো তা ইতোমধ্যে নওশাবা স্বীকার করেছে এবং এই জন্য সে ভীষণ অনুতপ্ত । সে বুঝতে পেরেছে তার ভিডিওর কারণে অনেক বড় কিছু হতে পারতো। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, মাদার অফ হিউম্যানিটি , সংস্কৃতি বান্ধব ,জননেত্রী শেখ হাসিনা, আপনার কাছে বিনীত আবেদন , যেহেতু নওশাবা তার ভুলের জন্য অনুতপ্ত ও ক্ষমাপ্রার্থী এবং তার বিগত জীবনে এমন কোনো কর্মকান্ড নেই যা রাষ্ট্র, সমাজ ও মানবতা বিরোধী।

বরং নানাবিধ সামাজিক, মানবিক কর্মকা-ের সাথে সে জড়িত এটা আমরা সবাই জানি।
যুদ্ধাপরাধীদের শাস্তির দাবীতে গণজাগরণ মঞ্চের আন্দোলনেও নওশাবা বলিষ্ঠ ভাবে জড়িত ছিলো। দুদিন পরেই ঈদ, নওশাবার ছয় বছরের কন্যা সন্তান আছে, শারিরীক ভাবেও সে অসুস্থ । আমরা সকলেই আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল , আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে। আমরা বিশ্বাস করি সকল আইনি প্রক্রিয়া পার হয়ে নওশাবা তার স্বাভাবিক জীবনের ফিরে আসবে। অভিনয় শিল্পী সংঘ এর সকল সদস্য , অভিনয় শিল্পীদের পক্ষ থেকে আপনার কাছে বিনীত আবেদন, কাজী নওশাবা আহমেদকে বন্দিদশা থেকে মুক্ত করে মায়ের কোলে তার সন্তানকে ঈদ করার সুযোগ করে দিন’। এ প্রসঙ্গে অভিনয় শিল্পী সংঘের সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবিব নাসিম মানবজমিনকে বলেন, নওশাবা আমাদের সহকর্মী। সে ভুল করেছে। তার জন্য সে অনুতপ্ত। নওশাবার আগে কোনো অপরাধ নেই। রাষ্ট্রদ্রহিতা হবে এমন কোনো কাজও করেনি।

সামনে ঈদ। একটি ছোট বাচ্চা আছে। আমরা অভিনয় শিল্পী সংঘের পক্ষ থেকে তার মুক্তির জন্য আবেদন করছি। আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়েই তাকে মুক্তি দেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানাই। স্ট্যাটাস ছাড়া আর কি করছেন এমন প্রশ্নের জবাবে নাসিম বলেন, আইনি প্রক্রিয়ার বাইরে তো আমাদের কিছু করার নেই। তবে আমরা ওর আইনজীবী, পরিবারের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছি। শিল্পী সংঘের পক্ষ থেকে এই মানবিক আবেদনের স্ট্যাটাস দিয়েছেন সংঘের সভাপতি শহীদুল আলম সাচ্চু, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ঊর্মিলা শ্রাবন্ত্রীকরসহ আরো অনেকে।