৫০০ বাংলাদেশি তরুণীকে ভারতের বাণিজ্যিক রাজধানী খ্যাত মুম্বাই শহরে পাচার করে তাদের দেহব্যবসায় বাধ্য করার অভিযোগে মোহাম্মদ সাইদুল শেখ (৩৮) নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে ভারতীয় পুলিশ। মুম্বাইয়ের থানে জেলার দোবিভালি এলাকায় মানপাড়া থেকে পালগড় পুলিশ গ্রেপ্তার করে সাইদুল শেখকে। বাংলাদেশি নাগরিক সাইদুলের বিরুদ্ধে আগে থেকেই ভারতে সাতটি মামলা রয়েছে বলে ইন্ডিয়া টুডে’র এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, সাইদুল শেখ প্রতিজন তরুণীকে ভারতের মুম্বাইয়ে নিয়ে বিক্রি করে কমিশন পেতো ৪০০০ রুপি করে। এই পাচার চক্রের সঙ্গে জড়িত থাকার দায়ে এরই মধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৭ জনকে।
পুলিশের ইন্সপেক্টর জিতেন্দ্র ভেঙ্কুট্টি বলেছেন, অভিযুক্ত সাইদুল বাংলাদেশ থেকে তরুণীদের পাচার করে নিয়ে যেত মুম্বাইয়ে। সেখানে তাদেরকে দেহব্যবসায় বিক্রি করে দিত। বিনিময়ে প্রতি তরুণীর জন্য তিনি কমিশন পেতেন ৪০০০ থেকে ৫০০০ রুপি। তারপর প্রতি মাসে বাড়তে থাকে এ অংক। অর্থাৎ আরো বেশি কমিশন পেত। এ ছাড়া তিনি বাংলাদেশ থেকে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের তরুণী ও নারীদের ভারতে নিয়ে যেত। তারপর তাদেরকে বিক্রি করে দিতেন। এ জন্য প্রতি গ্রাহকের কাছ থেকে পেতেন এক লাখ রুপি করে। তিনি ও তার চক্র এসব তরুণী বা নারীকে ভাল বেতনের উন্নতমানের চাকরির প্রলোভন দিতো।
পুলিশ বলেছে, সাইদুলের বাংলাদেশি কিছু এজেন্ট এ কাজে তাকে সহায়তা করতো। তারা সংশ্লিষ্ট তরুণীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক স্থাপন করতো। তারপর প্রেমের ফাঁদে ফেলে তাদেরকে সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতে চলে যেতো।
প্রায় এক বছর আগে এ বিষয়ে গোপন খবর পায় পুলিশ। ওই সময়ে দেহব্যবসা থেকে উদ্ধার করা হয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের চার তরুণীকে। কিভাবে তারা ভারতে গেছেন এবং কিভাবে তাদেরকে দিয়ে দেহব্যবসা করানো হচ্ছিল তার সবিস্তারে বর্ণনা দেয় তারা। তারাই পুলিশের কাছে প্রকাশ করে দেয় সাইদুল শেখের নাম। ২০১০ সাল থেকে সে ভারতে তার অবৈধ এসব কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছিল। এক পর্যায়ে পুলিশ তার অবস্থান চিহ্নিত করে সোর্সের মাধ্যমে। তারপর তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।