অনাকাঙ্ক্ষিত গর্ভপাত!!! জেনে নিন কারণ ও প্রতিকার
-
Update Time :
মঙ্গলবার, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০১৮
-
৪০৯
Time View
নারী স্বাস্থ্য
শোনা যায় অনেকেরই বার বার গর্ভপাত হচ্ছে। ব্যাপারটা মানসিক ও শাররিক দুই ভাবে বিপর্যস্ত করে ফেলে। সাথে সামাজিক ভাবে হেয় হওয়ার ভয় তো আছেই।
গর্ভপাত কিঃ গর্ভধারণের পর ২৮ সপ্তাহের মধ্যে গর্ভের শিশু অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে নষ্ট হওয়াকে বলা হয় গর্ভপাত। যদি পরপর দুটি বা তার বেশি গর্ভপাত হয়, তাকে বলা হয় রেকারেন্ট অ্যাবরশন বা ঘন ঘন গর্ভপাত।
গর্ভপাতের কারনঃ
- ভ্রুনের ক্রোমোজোমের অস্বাভাবিকতার কারনে ৬০ ভাগ গর্ভপাত হয়ে থাকে।
- মায়ের অত্রিরিক্ত স্থুলতা, অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটেস, থাইরয়েড হরমোনের সমস্যা, পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোম, জরায়ুর আকারে অস্বাভাবিকতা, মা বা বাবার জীবাণুর সংক্রমণ, ধূমপান, মদ্যপান বা মাদক সেবন।
- বয়স্ক নারীদের ক্ষেত্রে গর্ভপাতের সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি (৩৫ বছরের ঊর্ধ্বে)।
গর্ভপাত রোধে করণীয়
- বারবার গর্ভপাত হলে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে এর কারণ বের করা দরকার। যেমন রক্তের গ্রুপ, ব্লাড সুগার, ক্রোমোজোম পরীক্ষা, হাই ভ্যাজাইনাল সোয়াব কালচার, আলট্রাসনোগ্রাফি, হিস্টোরোসকপি, হিসটিরোসালফিনগোগ্রাফি, ল্যাপারোস্কপি ইত্যাদি।
- গর্ভপাতের পরও সুস্থ বাচ্চা হতে পারে। একবার গর্ভপাতের পর দুবার সুস্থ বাচ্চা জন্ম দেওয়ার হার প্রতি ১০ জনের মধ্যে ৯ জনেরও বেশি। তাই হতাশ হবেন না।
- গর্ভপাতের তিন মাস পর পরবর্তী বাচ্চা নেওয়া যাবে। গর্ভপাতের পর রক্তপাত পুরোপুরি বন্ধ হওয়ার আগে বাচ্চা নেওয়ার চেষ্টা করবেন না। এতে সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে। তাই একটি মাসিক হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন।
- গর্ভধারণের আগে থেকেই ফলিক অ্যাসিড, এসপিরিন, ভিটামিন ই, সি ক্যাপসুল শুরু করতে পারেন। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন, ডায়াবেটিস বা থাইরয়ে ড হরমোনের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখুন।
- খাদ্যাভ্যাসে শাকসবজি, ফলমূল রাখুন। যেকোনো ওষুধ চিকিৎসকের পরামর্শে সেবন করুন।
Please Share This Post in Your Social Media
More News Of This Category