বাংলাদেশের সকল গণতন্ত্রকামী রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে জাতীয় ঐক্য হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ। আজ দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে বাংলাদেশ ইয়ুথ ক্লাবের আয়োজনে এক আলোচনাসভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। মওদুদ বলেন, সরকার চায় যেন জাতীয় ঐক্য না হয়। তবে ইতিমধ্যে বাংলাদেশের সকল গণতন্ত্রকামী রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আগামী নির্বাচন নিয়ে জাতীয় ঐক্য হয়ে গেছে। এটাকে আরো সংঘবদ্ধ করতে হবে। আরো সামনের দিকে নিয়ে যেতে হবে। তিনি বলেন- সকলে চায় একটি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হোক। এই দাবি যদি মেনে না নেয় তবে এমন কর্মসূচি দেয়া হবে যাতে সরকার আলোচনায় বসতে বাধ্য হবে।তিনি আরো বলেন, বর্তমান সরকার চায় একটি যেন তেন নির্বাচন করে আবার ক্ষমতায় যাবে। কিন্তু দেশের মানুষ আজ এই সরকারের উপর ক্ষুব্ধ, সবাই বিরক্ত। আগামী দিনে নিরোপেক্ষ নির্বাচন আদায়ের জন্য সারা জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করা হচ্ছে। সেখানে সরকারের দুঃস্বপ্ন বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে না।
মওদুদ বলেন, অন্তবর্তীকালীন সরকার বলে যে ব্যবস্থা ছিল সেটা সরকার সংবিধান থেকে বাদ দিয়েছে। এখন তারা সংবিধান সংশোধন করে নির্বাচনকালীন সরকার ব্যবস্থা যোগ করেছে। এটা করেছে জনগনের সঙ্গে প্রতারণা করার জন্য। মওদুদ আহমদ বলেন, সরকার বলে নির্বাচনকালীন সময়ে আমরা রুটিন কাজ করব। নির্বাচন কমিশন সব কাজ করবে। এগুলো বলা হচ্ছে মূলত জনগণকে বিভ্রান্ত করার জন্য। কারণ সরকারের অধিনে সব আইনশৃঙ্খলা বাহিনী থাকবে, প্রশাসন থাকবে।
খালেদা জিয়ার আদালত প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দেশনেত্রীর মামলা আদালত এখন জেলখানার ভেতরে। সুতরাং আদালতও কারাবন্দী। সংবিধানে স্পষ্ট লেখা আছে বিচার হতে হবে প্রকাশ্যে। পাবলিক ট্রায়াল হতে হবে। কিন্তু এখন জেলখানার ভেতর আদালত নেয়ার হচ্ছে ক্যামেরা ট্রায়াল।
সাবেক আইনমন্ত্রী মওদুদ বলেন, একজন মন্ত্রী বলেছেন- বিএনপি নেতারা আইন জানেনা। এটা নিয়ে বললে তো অনেক কিছু বলা যায়। আমি ব্যক্তিগতভাবে কাউকে আক্রমণ করিনা। তবে এতোটুকু বলতে চাই – তিনি যেটা বলেছেন সেটা সঠিক বলেননি। বিএনপি মাহাসচিবের নিউইয়র্ক সফর নিয়ে তিনি বলেন, মহাসচিব গেছেন জাতিসংঘে। সেখানে তিনি নিজে থেকে যাননি। তাকে নিমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। দাওয়াতে গেছেন। কিন্তু সরকারের এক নেতা বললেন, জাতিসংঘে তিনি নালিশ করতে গেছে। মওদুদ বলেন, আমাদের মহাসচিব নালিশ করতে যাননি। বাংলাদেশের বর্তমান বাস্তব অবস্থা তুলে ধরতে গিয়েছেন। বাংলাদেশ ইয়ুথ ফোরামের উপদেষ্টা সাইদ আহমেদ আসলামের সভাপতিত্বে ও সংগঠনের সভাপতি মুহম্মদ সাইদুর রহমানের সঞ্চালনায় আরো উপস্থিত ছিলেন – বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান এজেডএম জাহিদ হোসেন, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য আহসান হাবীব লিংকন প্রমুখ।