ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী ইরানের অর্থনীতির চেয়ে আমেরিকার নিষেধাজ্ঞাকে ‘অনেক বেশি ভঙ্গুর’ হিসেবে আখ্যায়িত করে বলেছেন, ইরানি জনগণ এ নিষেধাজ্ঞা ব্যর্থ করে দিয়ে আমেরিকার ‘গালে আরেকবার চপেটাঘাত করবে।’
রাজধানী তেহরানের আজাদি স্টেডিয়ামে ইরানের স্বেচ্ছাসেবী বাহিনীর জওয়ানদের উদ্দেশে দেয়া ভাষণে তিনি এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন। আজাদি স্টেডিয়ামের ধারণক্ষমতা এক লাখ এবং আজ (বৃহস্পতিবার) সকালে সর্বোচ্চ নেতা যখন ভাষণ দিচ্ছিলেন তখন স্টেডিয়ামটি কানায় কানায় পূর্ণ ছিল।
আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী বলেন, “আমরা নিষেধাজ্ঞাকে ব্যর্থ করে দেব এবং সে ব্যর্থতা হবে আমেরিকার পরাজয়।”
তিনি বলেন, ১৯৭৯ সালের ইসলামি বিপ্লব, এরপর ইরাক সরকারের চাপিয়ে দেয়া আট বছরের যুদ্ধ এবং বিশ্ব সাম্রাজ্যবাদী ও ইহুদিবাদী শক্তির বিরুদ্ধে গত ৪০ বছরের প্রতিরোধ ইরানকে ‘অপরাজেয়’ শক্তিতে পরিণত করেছে।
আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট (ডোনাল্ড ট্রাম্প) ইউরোপীয় নেতাদের বলেছেন, ইরানের পরমাণু সমঝোতা বাস্তবায়নের আগে আর দুই তিন মাস অপেক্ষা করুন। দেখবেন ইরান সরকারের পতন ঘটে গেছে। সর্বোচ্চ তো বলেন, ৪০ বছর আগে তৎকালীন মার্কিন সরকারও বলে বেড়াত, আর ছয় মাস পরেই ইরানের ইসলামি সরকারের পতন হতে যাচ্ছে। ছয় মাস পর বলত, আর এক বছর পর এ ঘটনা ঘটবে। কিন্তু বাস্তবে তা ঘটেনি। বরং তখনকার ইরানের ইসলামি সরকারের ছোট্ট চারাগাছটি আজ বিশাল বটবৃক্ষে পরিণত হয়েছে।
বিগত ৪০ বছরে ইরান আগের তুলনায় অনেক বেশি শক্তিশালী হয়েছে বলে উল্লেখ করেন সর্বোচ্চ নেতা। তিনি বলেন, ইরানের বিপ্লব ও জনগণের বিপ্লবী চেতনা উপলব্ধি করতে শত্রু ব্যর্থ হয়েছে এবং এই ব্যর্থতার কারণে তাদের তেহরান বিরোধী সব ষড়যন্ত্র ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়েছে।
ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের সর্বোচ্চ নেতা তাঁর ভাষণের অন্য অংশে বলেন, ইরানের বিরুদ্ধে আমেরিকার সব ক্ষোভের মূল কারণ ইসলামি বিপ্লব ও বিপ্লবের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত ইসলামি শাসনব্যবস্থা। তিনি বলেন, ইসলামি বিপ্লবের আগে ইরানের রাজনৈতিক ও সামরিক শক্তি আমেরিকার নিয়ন্ত্রণে ছিল। সেটা করতে না পেরে তারা ইরানের বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ হয়েছে