ব্রেট কাভানোকে মার্কিন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিসেবে শপথ পড়াচ্ছেন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি অ্যান্থনি কেনেডি
যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্টের ১১৪তম বিচারপতি হিসেবে শপথ নিয়েছেন ব্রেট কাভানো। ব্যাপক প্রতিবাদের মধ্যেই সিনেট তার নিয়োগ অনুমোদন দেয়ার পর তিনি শপথ নিলেন। খবর আল-জাজিরার।
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মনোনীত কাভানোর বিরুদ্ধে যৌন অসদাচরণের অভিযোগ ওঠার পর তাকে নিয়োগ দিতে বেশ বেগ পেতে হয়েছে রিপাবলিকানদের। শনিবার কাভানোকে চূড়ান্ত করতে সিনেটের ভোটাভুটিতে রিপাবলিকান ও ডেমোক্রেটদের মধ্যে লড়াই তিক্ত যুদ্ধের ভেতর দিয়ে শেষ হয়েছে। এদিন কাভানোর পক্ষে ৫০ আর বিপক্ষে ৪৮ ভোট পড়ে। মন্টানার রিপাবলিকান সিনেটর লিসা মুরকোস্কি কাভানোর মনোনয়নের বিরোধিতা করলেও মন্টানারই আরেক রিপাবলিকান সিনেটর স্টিভেন ডায়নেসের সম্মানার্থে কাভানোকে ভোট দিয়েছেন। কাভানোর নিয়োগের পক্ষে থাকা সিনেটর ডায়নেস তার মেয়ের বিয়ের জন্য ভোটাভুটিতে অংশ নিতে পারেননি।
এদিকে কাভানোর এই নিয়োগ প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের জন্য সুস্পষ্ট বিজয় হিসেবে দেখা হচ্ছে। ভোটাভুটির কিছুক্ষণ পরই এক টুইট করেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। সেখানে তিনি লিখেন, আমাদের মহান মনোনীত প্রার্থী বিচারক ব্রেট কাভানোর যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্টে নিয়োগ চূড়ান্ত করার জন্য আমি সিনেটের প্রশংসা করছি ও শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।
চলতি বছরের শুরুর দিকে অবসরে যাওয়া বিচারপতি অ্যান্থনি কেনেডির স্থলাভিষিক্ত হবেন কাভানো। যদিও কেনেডিকে একজন রক্ষণশীল বিচারক হিসেবে দেখা হয়; কিন্তু প্রজনন অধিকার, ইতিবাচক পদক্ষেপ ও সমকামীদের অধিকারের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোতে তিনি প্রায়ই দোদুল্যমান ছিলেন।
উল্লেখ্য, মনোবিজ্ঞানের অধ্যাপক ক্রিস্টিন ব্লাসে ফোর্ড অভিযোগ করেন যে ১৯৮০-র দশকে তিনি কাভানোর যৌন অসদাচরণের শিকার হয়েছিলেন। তার এই অভিযোগের তিন সপ্তাহের কম সময়ের মধ্যে কাভানোর নিয়োগ চূড়ান্ত হলো। ফোর্ড অভিযোগ করেন যে, তাদের কৈশোরে একটি পার্টিতে তার শরীরে এলোমেলোভাবে হাতানো ও পোশাক খোলার চেষ্টা করেন কাভানো। ফোর্ডের ওই অভিযোগের পর আরও দুইজন নারী কাভানোর বিরুদ্ধে যৌন অসদাচরণের অভিযোগ তোলেন। তবে কাভানো তার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।