বিনোদন প্রতিবেদক : এফডিসিতে পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় বিনোদন সাংবাদিকদের উপর চড়াও হন শাকিব খান। বৃহস্পতিবার বিকেলে এফডিসিতে শাহেনশাহ ছবির শুটিং চলছিল। সন্ধ্যার দিকে হঠাত শাকিব খানের সঙ্গে সিডাব সদস্যদের ঝামেলা বাঁধে। তাদের ঝগড়া প্রায় মারামারি পর্যায়ে চলে যায়। শাকিব খান উত্তেজিত হয়ে সিডাব সদস্যদের মারতে যান।
এ সময় সাংবাদিকরা ছবি ও ভিডিও ধারণ করতে গেলে প্রথমে বাধা দেন ইউনিটের লোকজন। পরে শাকিব খান এসে মিডিয়া ভুবন২৪.কমের সাংবাদিক জিয়া উদ্দীন আলমের উপর চড়াও হন ও উপস্থিত সাংবাদিকদেরকে অশ্লিল ভাষায় গালিগালাজ করেন। এ সময় আলম শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত ও আহত হন। শাকিব খান আলমের মোবাইলের গুরুত্বপূর্ণ ফাইল ডিলেট করে দেন।
এ সময় শাকিব খান উপস্থিত এনটিভি অনলাইনের মাজহার বাবু, আমাদের সময়.কমের মহিব আল হাসান ও নিউজজিটোয়েন্টিফোর.কমের সুদীপ্ত সাইদ খানের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন ও মোবাইলের গুরুত্বপূর্ন ফাইল ডিলেট করে দেন। এবং পুরো ঘটনার নেতৃত্ব দেন বিতর্কিত তরুণ নির্মাতা শামীম আহমেদ রনি। যিনি এর আগেও চলচ্চিত্র নির্মাণের ক্ষেত্রে নিয়ম-নীতি ভঙ্গ ও সমিতির আচরণ বহির্ভূত কাজের জন্য বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতি কর্তৃক নিষিদ্ধ হয়েছিলেন।
মোবাইল ফোন কেড়ে নেওয়ার কারণ হিসেবে শাকিব খান বলেন, ‘কেন কেড়ে নেব না? এটা আমাদের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। এসব কেন ভিডিও করবে? তাই আমি ধমক দিয়ে বলেছি, এটা ভিডিও করার কী আছে? তারপর আমি ওসব ভিডিও মুছে ফেলতে বলেছি।’
শাকিব খান মনে করেন, যারা শাহেনশাহ ছবির শুটিং সেটে ছিলেন, তাদের তিনি সংবাদকর্মী হিসেবে নয়, ছোট ভাই হিসেবে দেখেন। সাংবাদিক হিসেবে যদি দেখতেন, তাহলে শুটিং স্পটে ঢুকতেই দিতেন না।