দীর্ঘদিন ডেভেলপমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেছেন ফেডারেশনের সহ-সভাপতি বাদল রায়। ১০ই নভেম্বর বাফুফের নির্বাহী কমিটির সভায় তাকে সরিয়ে ডেভেলপমেন্ট কমিটির দায়িত্ব নেন বাফুফে সভাপতি কাজী মোহাম্মদ সালাউদ্দিন। দুই মাস আগে কমিটি গঠন হলেও প্রথম সভা হলো গতকাল। যে সভায় একাডেমি শুরু নিয়েই বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। রাজধানীর বাড্ডার বেরাইদে ফর্টিস গ্রুপের মাঠেই মার্চের প্রথম সপ্তাহে একাডেমি শুরুর পরিকল্পনার কথা জানান বাফুফে সভাপতি।
সিলেট বিকেএসপি পেয়েও চালাতে পারেনি ফেডারেশন। ফিফার আর্থিক সাহায্য ছিল। তবে সিলেট বিকেএসপি না চালানোর ব্যাখ্যা দিয়েছেন বাফুফে সভাপতি, ‘ফিফা যতটুকু সাহায্য দিয়েছিল ততটুকু দিয়ে একাডেমি চালিয়েছি। পরে আর্থিক সংকটের কারণে পারিনি।বন্ধ হয়ে গিয়েছে।’ ফিফা ও এনএসসির সহায়তার পরও একাডেমি চালাতে পারেনি বাফুফে। ফোর্টিজ গ্রাউন্ডের মতো বাণিজ্যিক খাতে কীভাবে একাডেমি চলবে? এ নিয়ে সালাউদ্দিন বলেন, ‘দায়িত্ব নিয়ে বলছি, যতদিন পর্যন্ত স্পন্সর না পাব- ততদিন আমি এবং আমার বন্ধুবান্ধব অর্থ দিয়ে চালাব।’ বাফুফে সহ-সভাপতি বাদল রায় সালাউদ্দিনের কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করায় তাকে ডেভেলপমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান থেকে সরিয়ে দেয়া হয়। পরিবর্তে তিনি নিজেই এই কমিটির দায়িত্ব নেন। যদিও বিষয়টি উড়িয়ে দিয়ে সালাউদ্দিন বলেন, বাদল অসুস্থ অনেক দিন। এজন্য চিন্তা করলাম এটা গুরুত্বপূর্ণ কমিটি। তাই আমিই দায়িত্ব নিয়েছি।’ তবে ফেডারেশনের গঠনতন্ত্রে যে সমস্ত স্ট্যান্ডিং কমিটি রয়েছে সেগুলো হবে নয় সদস্যের। ডেভেলপমেন্ট কমিটির ক্ষেত্রে গঠনতন্ত্রের লংঘন করা হয়েছে। এই কমিটিতে সদস্য সংখ্যা দ্বিগুণ। সাবেক ফুটবলাররা সালাউদ্দিনের সমালোচনায় মুখর।
সামনে নির্বাচনের আগে সাবেকদের টানতেই তাদেরকে ডেভেলপমেন্ট কমিটিতে রেখেছেন তিনি। তবে আবুধাবীতে জর্ডান ফুটবল ফেডারেশনে কর্মকর্তা প্রিন্স আলীর সঙ্গে বৈঠকে একাডেমির জন্য সহায়তা পাওয়ার আশ্বাস পেয়েছেন বলে জানান সালাউদ্দিন। বাড্ডায় একাডেমি করার ব্যাপারে সালাউদ্দিন বলেন, ‘ফর্টিস গ্রুপের মাঠটি আমরা নিয়েছি। তাদের একটি ভালো বিল্ডিংও আছে। ইতিমধ্যে সেখানে সংস্কার কাজও শুরু হয়েছে। আশা করছি, ২৫/৩০ দিনের মধ্যে শেষ হবে। কিছু আসবাবপত্রও লাগবে। সব ঠিকঠাক করে মার্চের প্রথম সপ্তাহে ওখানে আমরা ফুটবলার উঠিয়ে আবাসিক ক্যাম্প শুরু করতে পারবো। ত্রিশ দিন পর আমরা আবার সভা করবো’- একাডেমি চালুর কথা জোর দিয়েই ঘোষণা দিলেন বাফুফে সভাপতি। তবে কাদের নিয়ে একাডেমি শুরু হবে তার বিস্তারিতও বলেন কাজী মো. সালাউদ্দিন, ‘আমাদের একটা বয়সভিত্তিক দল আছে। তাদের মধ্যে যারা সেরা তাদের একাডেমিতে রাখা হবে। বাইরে থেকেও প্রতিভা খুঁজে ক্যাম্পে ওঠানো হবে। খেলোয়াড়দের কোনো সংখ্যা নির্ধারণ করছি না। যত কোয়ালিটি পাওয়া যাবে ততো খেলোয়াড়ই একাডেমিতে তোলা হবে।’