প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। প্রধানমন্ত্রীকে পাঠানো এক চিঠিতে এই অভিনন্দন জানান তিনি। চিঠিটির বিষয়ে গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম। মার্কিন প্রেসিডেন্ট চিঠিতে যুক্তরাষ্ট্রের জনগণের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শেখ হাসিনার সাফল্য কামনা করেন।
ডোনাল্ড ট্রাম্প লিখেন, মিয়ানমার থেকে বিতাড়িত রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ সরকারের কাছে কৃতজ্ঞ যুক্তরাষ্ট্র। বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক অগ্রগতি এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও সমৃদ্ধির মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ যোগসূত্র রয়েছে।
ট্রাম্প আশা প্রকাশ করেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি আরও বাড়াতে প্রধানমন্ত্রী মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করবেন। একই সঙ্গে তিনি সুষ্ঠু ও পারস্পরিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, মানবাধিকার রক্ষায় অঙ্গীকার, ব্যক্তির মতপ্রকাশ ও গণতান্ত্রিকায়নে সরকারের মনোযোগ থাকার প্রত্যাশার কথাও জানিয়েছেন।
ট্রাম্প চিঠিতে বলেন, এই অঙ্গীকার সুনির্দিস্টভাবে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে এ জন্য যে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের তরফে ৩০ শে ডিসেম্বরের নির্বাচনের নিরপেক্ষ তদন্তের আহ্বান জানানো হয়েছে । ওই নির্বাচনে বিরোধী রাজনৈতিক দল ও তাদের সমর্থকদের ওপর আক্রমণ এবং সাংবাদিকদের ওপর নিযাতনের রিপোর্ট বা তথ্য রয়েছে। যা জাতীয় নির্বাচন এবং বাংলাদেশের বৈশ্বিক ইমেজ কলঙ্কিত করেছে।
ট্রাম্প বলেন যদি কোথাও ভিন্নমতের শান্তিপূর্ণ প্রকাশ বাধাপ্রাপ্ত হয়, তাহলে এই আশঙ্কা থাকে যে সেখানে কেউ সহিংস হয়ে উঠতে পারে। যেটা স্থিতিশীলতা এবং অর্থনৈতিক উন্নতিকে বাধাগ্রস্ত করবে। যা ধরে রাখা বা তৈরির জন্য আপনার সরকার অনেক কষ্টকর কাজ করছে।
চিঠিতে ট্রাম্প উভয় দেশের উন্নত ভবিষ্যত নির্মাণের ক্ষেত্রে বিভিন্ন সুযোগ ও প্রতিবন্ধকতা মোকাবিলায় একসঙ্গে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেন।
এদিকে, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ডনাল্ড ট্রাম্পের চিঠিটি হোয়াইট হাউজের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা পররাষ্ট্র সচিবের কাছে ওয়াশিংটনে দুই দিন আগে হস্তান্তর করেন।