জমি নিয়ে বিরোধের জেরে একটি হত্যাকান্ডকে কেন্দ্র করে ২৭৫ দিন ধরে নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার পার-মল্লিকপুর গ্রামের ২০০ পরিবার পলাতক ছিল। অবশেষে পুলিশ প্রশাসনের উদ্যোগে দীর্ঘদিন পর নিজ নিজ বাড়িতে পরিবার-পরিজন নিয়ে বাড়িতে ফিরলো তারা। শনিবার বিকালে মল্লিকপুর গ্রামের বিবাদ মীমাংসার জন্য স্থানীয় ফুটবল মাঠে এক সম্প্রীতির বন্ধন বিষয়ক সভার আয়োজন করা হয়। পুলিশ প্রশাসনের উদ্যোগে এ সভা আয়োজন করা হয়।

জানা যায়, উপজেলার পার-মল্লিকপুর গ্রামে দীর্ঘদিন ধরে হেমায়েত হোসেন হিমু ও ইউপি সদস্য উজ্জ্বল ঠাকুর গ্রুপের মধ্যে আধিপত্যকে কেন্দ্র করে ২০১৮ সালের ২১শে এপ্রিল এক সংঘর্ষে উজ্জ্বল ঠাকুর পক্ষীয় খায়ের মৃধা নিহত হন। এ ঘটনায় রেক্সোনা বেগম বাদী হয়ে লোহাগড়া থানায় ৫১ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করলে আসামী পক্ষের ২শ পরিবার বাড়ি ছাড়া হয়। আসামীপক্ষের বাড়িঘর ভাঙচুর এবং মূল্যবান আসবাবপত্র, গবাদী পশু ও ফসল লুটপাট করা হয়। ভুক্তভোগী এসব পরিবারের সদস্যরা আত্মীয় স্বজনের বাড়ি ও বিভিন্ন এলাকায় বাসা ভাড়া করে বসবাস করে আসছিলেন।দীর্ঘদিন পর এসব পরিবারের সদস্যরা প্রশাসনের উদ্যোগে বাড়িতে ফিরতে পারায় তাদের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে।

এ ব্যাপারে পুলিশ সুপার জসিমউদ্দিন জানান, উভয় পক্ষ যাতে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করতে পরে এ জন্য আজকের এই সম্প্রীতির বন্ধন করে দু’পক্ষের কাছ থেকে মুচলেকা নেয়া হয়েছে।

এ সভায় সভাপতিত্ব করেন মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ শামসুল হক কচি। এতে বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক আনজুমান আরা, নড়াইলের পুলিশ সুপার মোহাম্মাদ জসিমউদ্দিন পিপিএম,পুলিশ সুপারের সহ ধর্মীনি নাহিদা চৌধুরী সুমী,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শরফুদ্দিন, লোহাগড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এম এম আরাফাত হোসেন, লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ প্রবীর কুমার বিশ্বাস, উপজেলা আ’লীগের সভাপতি শিকদার আব্দুল হান্নান রুনু, মল্লিকপুর ইউপি চেয়ারম্যান শিকদার মোস্তফা কামাল, সাবেক চেয়ারম্যান সাহিদুর রহমান, ইউপি সদস্য উজ্বল ঠাকুর ও সাবেক ইউপি সদস্য হিমায়েত হোসেন হিমু প্রমুখ।