গত দুইদিন যাবত কামরাঙ্গীরচর থানার ৫৫নং ওয়ার্ডের আওতাধীন খোলামুড়া ঘাটের আশেপাশের বুড়িগঙ্গা নদীতে অবৈধ দখল উচ্ছেদ অভিযান চলছে।নদীর পাড়ে গড়ে উঠা ৬/৭ তলা বড় বড় বিল্ডিং ভাংতেও দেখা যাচ্ছে।
আজকে দেখা গেলো ঢাকা ৭ আসনের এমপি হাজী সেলিম সাহেবের রড,সিমেন্টের দোকানও ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে।এই অভিজানে সাধারন জনগন যেমনিভাবে খুশি ঠিক তেমনি ভাবে তারা সংকিত।
বিশ বছর আগেও কামরাঙ্গীরচরের চতুর্পাশে বুড়িগঙ্গা নদী ছিলো কিন্তু গত বিশ বছরে শিকদার মেডিকেল থেকে লোহারব্রীজ পর্যন্ত নদী সবচাইতে বেশি দখল হয়েছে এখানে এখন আর নদী দেখা যায় না।নদীর মধ্যে ময়লা আর মাটি ফেলে তৈরি হয়েছে কাচা পাকা বিল্ডিং বাড়ি।আমরা মাঝেমাঝেই দেখি বি,আই,ডাব্লিউ,টি লোক দেখানো সপ্তাহ খানেক অভিজান চালানোর পর আবারো সেই একই ভাবে দখল হয়ে যাচ্ছে।
কিন্তু পান্না,মেটাডোর,মধু হাজির মতন বড় বড় কোম্পানি হাজার হাজার কাঠা নদীর জমি দখল করে ফেক্টরি,হাউজিং প্রকল্প,বিনোদন কেন্দ্র বানাচ্ছে তাদের কেউ কিছু বলার সাহস পর্যন্ত পাচ্ছেনা।
কেনো এই দু-চোখাপনা??
কিছুদিন আগেও যখন কোম্পানি ঘাট এলাকায় অভিযান চালায় আশেপাশের ছোটছোট বাড়িঘর বিল্ডিং ভেঙে ফেলে কিন্তু ম্যাটাডোর,পান্না কোম্পানির একটা ইটের খোসাও খুলতে পাড়েনাই।
আমি সরকার ও প্রশাসনের কাছে অনুরোধ জানাবো আপনাদের উচ্ছেদ অভিযান প্রশংসনীয় তখনই হবে যখন আপনারা ছোটছোট দখলকারীদের সাথে এই সমস্থ রাগব বোয়ালদের দখলে থাকা জমিও উচ্ছেদ করে নদীর হারানো সৌন্দর্য্য ফিরিয়ে দিবেন।
..