ক্ষমতার জেরে সৌদি বাদশাহ সালমান ও তার ছেলে মোহাম্মদ বিন সালমানের মধ্যে দ্বন্দ্ব চরম পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। সৃষ্টি হয়েছে অবিশ্বাস ও ভয়েরও। গতমাসে বাদশাহর মিশর সফরকালে তার উপদেষ্টারা তার ক্ষমতাহরণ এমনকি জীবননাশের বিষয়েও সতর্ক করেছিলেন। যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের কথা মাথায় রেখে বাদশাহর নিরাপত্তা বৃদ্ধি করা হয়। সফরকালে বাদশাহর একান্ত অনুগত ৩০ জনকে তার নিরাপত্তার জন্য রাখা হয়েছিল। মিশরীয় নিরাপত্তা বাহিনীকেও বাতিল করে দেয়া হয়েছিল এ সফরে। গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে এ খবর দিয়েছে আল-জাজিরা।
বাদশাহ যখন সৌদি আরবে ফিরে আসেন তখন তাকে রিসিভ করতে যাননি সংস্কারপন্থী যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। আন্তর্জাতিক নানা ইস্যুতে যুবরাজের বিতর্কিত অবস্থান নিয়ে পিতা-পুত্রের মধ্যে দ্বন্দ্বের কথা আগেই প্রচার হয়েছিল।
সুদান ও আলজেরিয়ায় সরকার বিরোধীদের বিরুদ্ধে যুবরাজের অবস্থান ছিল। একইসঙ্গে ইয়েমেনি বন্দিদের ওপর কঠোর নির্যাতনের পক্ষে ছিলেন ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান। কিন্তু বাদশাহ এর বিরুদ্ধে থাকায় তাদের মধ্যেকার দ্বন্দ্ব প্রকাশিত হয়ে পরে। বাদশাহর মিশর সফরকালে মোহাম্মদ বিন সালমান নিজেই দুটি বড় বড় সিদ্ধান্ত গ্রহন করেন, যা বাদশাহর পছন্দ ছিল না। এরমধ্যে একটি হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রে প্রথমবারের মত নারী রাষ্ট্রদূত নিয়োগ। অপরটি হচ্ছে খালিদ বিন সালমানকে প্রতিরক্ষামন্ত্রী বানানো। এর আগেও এ পদে খালিদকে বসাতে চাইলে বাদশাহর নিষেধে তা সম্ভব হয়নি। তবে তার মিশর সফরকালে সুযোগটি কাজে লাগান যুবরাজ। মিশরে থাকাকালীন টিভি সংবাদে প্রথম এত বড় খবরটি জানেন বাদশাহ।