শাহজাদপুর মাছ বাজারে মাছ কেনাকে কেন্দ্র করে থানার এএসআই ও থানার ড্রাইভারকে মারপিটের ঘটনায় একজনকে ক্লোজ করা হয়েছে। গতকাল সকালে শাহজাদপুর থানার এএসআই আশরাফুল ও ড্রাইভার বাসিদ দ্বারিয়াপুর মাছ বাজারে মাছ কিনতে আসে। এ সময় রাজিব নামে এক মৎস্য ব্যবসায়ীর কাছ দুই পুলিশ কর্মকর্তা ১ কেজি মাছ কেনে। মাছ বাজার সমিতির সহ-সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক জানান, ১ কেজি মাছ দুইজনকে সমান ভাগে ভাগ করে দেয়া হয়। এ সময় একজনের ৫শ’ ৬০ গ্রাম অপরজনের ৫’শ গ্রাম মাছ দেয়া হয়। এ নিয়েই এএসআই আশরাফুল ক্ষিপ্ত হয়ে রাজিব ব্যাপারীর বুকের উপর লাথি মারতে থাকে এ সময় এক পর্যায়ে মাছ ব্যবসায়ী চিৎকার করতে থাকলে সকল মাছ ব্যবসায়ী একত্র হয়ে তাদের ধাওয়া করে এবং দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে মারপিট করে। এ সময় এএসআই আশরাফুল মৎস্য সমিতি কক্ষে আটকে রাখে এবং কনস্টেবল বাসিদ অন্য ঘরে আশ্রয় নেয়। তাৎক্ষণিক বিক্ষুব্ধ মৎস্য ব্যবসায়ীরা এই পুলিশ কর্মকর্তার শাস্তির দাবিতে মাছ বাজারে স্লোগান দিতে থাকে।
খবর পেয়ে শাহজাদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ আতাউর রহমান ঘটনাস্থলে আসেন এবং জনসম্মুখে উভয়পক্ষের বিবরণ শুনে ঘটনার সত্যতা খুঁজে পান।
এ সময় অফিসার ইনচার্জ বলেন, আমরা জনগণের সেবা করার জন্য এসেছি। এ ঘটনার কঠোর বিচার করা হবে। দুপুরে মৎস্য ব্যবসায়ীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে এএসআইকে পুলিশ লাইনে ক্লোজ করা হয় বলে জানা গেছে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন শাহজাদপুর উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক আশিকুল হক দিনার, মৎস্য ব্যবসায়ী বাবু ব্যাপারী, জহুরুল হক মুন্সী, নাছিম ব্যাপারী। এদিকে এ ঘটনায় গোটা শাহজাদপুরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।