পারলো না বাংলাদেশের যুবরা। রুদ্ধশ্বাস ফাইনালে ভারতের কাছে হেরে যুব এশিয়া কাপ জয়ের স্বপ্ন ভঙ্গ হলো বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের। আজ (শনিবার) কলম্বোতে অনুষ্ঠিত ফাইনালে শিরোপাধারী ভারতের কাছে ৫ রানে হেরে যায় টাইগার যুবারা।
ভারতের দেয়া মাত্র ১০৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নামা বাংলাদেশের শুরুটাই ছিল বেশ নড়বড়ে। ভারতীয় পেসার আকাশ সিংয়ের মারাত্মক বোলিংয়ে ১৬ রানেই ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল টাইগার যুবারা। ওপেনার তানজিদ হাসান ফেরেন শূন্য রানে। আরেক ওপেনার পারভেজ হাসান ইমন করেন ৫ রান। তিনে নামা মাহমুদুল হাসান জয় ১ ও তৌহিদ হৃদয় ০ রানে আউট হন। প্রথম ৪ উইকেটের ৩টিই নেন আকাশ। অপরটি বিদ্যাধর পাতিল।
পঞ্চম উইকেটে হাল ধরেন আকবর আলী-শাহাদাৎ হোসেন। কিন্তু দলীয় ৪০ রানে সঙ্গী শাহাদাৎকে (৩) হারান আকবর আলী। দলীয় ৫১ রানে ষষ্ঠ ব্যাটসম্যান হিসেবে ফিরে যান শামীম (৭)। দুজনই আউট হন আঙ্কোলেকরের বলে। তবে সাতে ব্যাট করতে নামা মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরীর আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে স্বস্তি ফেরে বাংলাদেশ শিবিরে। এরপর বৃষ্টির কারণে কিছুক্ষণ খেলা বন্ধ ছিল। পুনরায় খেলা শুরু হলে ম্যাচের মোড় ঘুরে যায় ভারতের দিকে। দলীয় ৭৮ রানে বাংলাদেশের দুই সেট ব্যাটসম্যান আকবর (২৩) ও মৃত্যুঞ্জয় (২১) আউট হয়ে যান। এরপর তানজীম হাসান সাকিব ও রাকিবুল হাসান দেখেশুনে সিঙ্গেল নিয়ে নিয়ে খেলতে থাকেন। ১০১ রান পর্যন্ত তারা নিয়ে যান বাংলাদেশকে। ৩৩তম ওভারে আঙ্কোলেকর এসে তানজিমকে তুলে নেন। তানজিমের ব্যাটে বল লাগার পরও আম্পয়ার তাকে এলবি ডব্লিউ দেন। আর ষষ্ঠ বলে শাহীন আলমকে বোল্ড করে বাংলাদেশের জয়ের আশা গুঁড়িয়ে দেন এই বাঁহাতি স্পিনার। ৫ উইকেট নেন আঙ্কোলেকর।
এর আগে ব্যাটিংয়ে নেমে শামীম হোসেন ও মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরির বোলিং তোপে ৩২.৪ ওভারে মাত্র ১০৬ রানে গুটিয়ে যায় ভারত। ৬ ওভারে ২ মেডেন দিয়ে মাত্র ৮ রান খরচায় ৩ উইকেট নেন শামীম। আর ৭.৪ ওভারে ১৮ রানে মৃত্যুঞ্জয় নেন ৩ উইকেট। শাহীন আলম ও তানজিম হাসান সাকিব একটি করে উইকেট লাভ করেন।
কলম্বোর আর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামের ফাইনালে ভারত টস জিতে ব্যাটিং নেয় ভারত। কিন্তু মাত্র ৮ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বসে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা। ভারতীয় ওপেনার অর্জুন আজাদকে শূন্য রানে ফেরান তানজিম। এরপর বাঁহাতি পেসার মৃত্যুঞ্জয়ের শিকার হয়ে ফেরেন তিলক ভার্মা (২)। আরেক ওপেনার সুভেদ পার্কার (৪) কাটা পড়েন রান আউটে। চতুর্থ উইকেটে শ্বাশত রাওয়াত ও ধ্রুব জুরেল প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলেন। কিন্তু স্পিনার শামীম বেশিদূর এগোতে দেননি এ জুটিকে। ১৫তম ওভারের দ্বিতীয় বলে শামীম তুলে নেন রাওয়াতকে (১৯) আর চতুর্থ বলে ফেরান বরুণ লাভান্দেকে (০)। শামীমের শিকার হয়ে ফেরেন ৩৩ রান করা ধ্রুব জুরেলও। এর আগে মাহমুদুল হাসানের থ্রোতে রান আউট হন অথর্ব আঙ্কোলেকর (২)। ৬২ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকে ভারত।
অষ্টম উইকেটে কারণ লাল-সুশান্ত মিশ্রের ২০ রানের জুটির পর শাহীন আলম ফেরান সুশান্তকে (৩)। এরপর ২ রানের ব্যবধানে আরো দুই উইকেট হারিয়ে ১০০ আগেই গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কা জাগে ভারত শিবিরে। তবে করণ লালের কল্যাণে শেষতক দলীয় সংগ্রহটা তিন অংক ছুঁয়েছে ভারতের। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩৭ রান করে শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হন করণ।