সারা জীবনের কষ্টার্জিত উপর্জনে ফ্ল্যাট কিনে শেষ জীবনে বিপদে পড়েছেন এমন ঘটনা এখন প্রতিনিয়তই ঘটছে।
রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) ও রিহ্যাবের অনুমোদিত ডেভেলপার কোম্পানি থেকে ফ্ল্যাট কেনার পরও প্রতারণার শিকার হচ্ছেন অনেক গ্রাহক। অনেকেই মনে করেন প্রতারক কোম্পানির বিরুদ্ধে রিহ্যাব ব্যবস্থা নিয়ে গ্রাহকের পক্ষে দাঁড়াবেন। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে এসব কোম্পানির বিরুদ্ধে রিহ্যাব কয়েকটি নোটিশ দেয়া ছাড়া কিছুই করতে পারে না।
এ বিষয়ে ব্যারিস্টার আবুল কালাম আজাদ আরটিভি অনলাইনকে জানান, ফ্ল্যাট কিনে যেসব গ্রাহক প্রতারিত হন তাদের পক্ষে সরকার ২০১০ সালে আইন পাশ করেছে, যা ‘রিয়াল এ্যাস্টেট উন্নয়ণ ও ব্যবস্থাপনা ২০১০’ নামে পরিচিত। এর ২৭ ধারায় স্পষ্ট বলা হয়েছে কোম্পানি যদি গ্রাহকের সাথে প্রতারণা করে তাহলে কোম্পানির মালিক বা পরিচালকদের বিরুদ্ধে এই আইনে মামলা করা যাবে। যার শাস্তি সর্বোচ্চ দুই বছর জেল বা ২০ লাখ টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হতে পারে।
তিনি বলেন, গ্রাহক প্রথমে এই আইনে নিম্ন আদালতে মামলা করবেন। যদি কোম্পানি আপিল না করে তাহলে সেখানেই মামলার ফয়সালা হবে।
আর আপিল করলে তা হাইকোর্টে নিষ্পত্তি হবে। এক্ষেত্রে গ্রাহকের কাছে থাকা চুক্তিপত্র দলিল ও মানিরিসিপ্টই তার প্রমাণ হিসেবে আদালতে উপস্থাপন করা হবে।
তিনি বলেন, যদি জায়গার মালিক সময়মতো ডেভেলপার কোম্পানিকে জমি বুঝিয়ে না দেয় তাহলে তাকেও প্রতারণার মামলায় আসামি করা যাবে।
ব্যারিস্টার আজাদ বলেন, গ্রাহককে সুরক্ষা দেয়ার জন্য সরকারের আইন আছে। কিন্তু বিষয়টি অনেকেই জানেন না বলে প্রতারিত হওয়ার পরও কোনোও ব্যবস্থা নিতে পারেন না।
তবে বাড়ি, প্লট বা ফ্ল্যাট কেনার ক্ষেত্রে অনেকেই প্রলুব্ধ হয়ে তাড়াহুড়ো করে কেনার চুক্তিতে চলে যান। বিক্রেতা প্রতিষ্ঠানটি সম্পর্কে ভালোভাবে খোঁজখবর নেন না। এটিই সবচেয়ে বড় ভুল। বিক্রেতা প্রতিষ্ঠানের জমির দলিলপত্র, চুক্তিপত্রগুলো একজন আইনজীবীকে দেখিয়ে বুকিং দেওয়ার পরামর্শ দেন আবুল কালম আজাদ।