এ বছর ‘ডুয়িং বিজনেস’ সূচকে বেশি উন্নতি করবে এমন ২০টি দেশের তালিকা প্রকাশ করেছে বিশ্ব ব্যাংক। এ তালিকায় রয়েছে বাংলাদেশ। কোনো দেশে ব্যবসা-বাণিজ্যের নিয়মকানুন ও তার বাস্তবায়ন কতটুকু সহজ বা কঠিন তার ওপর বিশ্ব ব্যাংক এ তালিকা তৈরি করে। এতে দেখা গেছে, এবার আগের চেয়ে উন্নতির সম্ভাবনা রয়েছে বাংলাদেশের। আগামী মাসে ডুয়িং বিজনেস-২০২০ রিপোর্ট প্রকাশ করবে বিশ্বব্যাংক।
বাংলাদেশ এখন এ সূচকে ১৯০টি দেশের মধ্যে ১৭৬তম। এবার বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদন প্রকাশের পর এই অবস্থানের উন্নতি হতে পারে।
আগামী মাসে ডুয়িং বিজনেস-২০২০ রিপোর্ট প্রকাশ করবে বিশ্বব্যাংক। বিশ্বব্যাংক প্রকাশিত সংস্কারের এগিয়ে থাকা তালিকায় ২০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ ছাড়াও রয়েছে ভারত, চীন, আজারবাইজান, বাহরাইন, জর্ডান, কেনিয়া, মিয়ানমার, পাকিস্তান, কাতার, সৌদি আরব, কুয়েত, কসোভো, দিজিবুতি, টোগো, উজবেকিস্তান, তাজাকিস্তান, নাইজেরিয়া, কিরগিজ রিপাবলিক ও জিম্বাবুয়ে।
এ বিষয়ে এক সংক্ষিপ্তসারে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ উদ্যোক্তাদের জন্য ব্যবসা শুরু, বিদ্যুৎ সংযোগ এবং ঋণপ্রাপ্তিকে সহজ করেছে। নতুন কোম্পানি নিবন্ধনের খরচ কমেছে। ডিজিটাল সনদ ফি বাতিল করা হয়েছে। ঢাকায় নতুন বিদ্যুৎ সংযোগের ক্ষেত্রে জামানত অর্ধেক করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ঋণ তথ্য ব্যুরো তার তথ্য সংরক্ষণের আওতা বাড়িয়েছে এবং যে কোনো অঙ্কের ঋণের উপাত্ত সংরক্ষণ করছে।
১০টি নির্দেশক বা মানদণ্ডের ভিত্তিতে ডুয়িং বিজনেস স্কোর গণনা করে বিশ্বব্যাংক। গত বছর ৬টি ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবস্থান পিছিয়ে যায়। এগুলো হচ্ছে- ব্যবসা শুরু করা, নির্মাণ কাজের অনুমোদন, ঋণপ্রাপ্তি, ক্ষুদ্র শেয়ারধারী বিনিয়োগকারীদের সুরক্ষা, দেউলিয়াত্ব ঠেকানো ও সীমান্ত বাণিজ্য। অন্যদিকে বিদ্যুৎ সংযোগ, সম্পত্তি নিবন্ধন ও কর প্রদান মানদণ্ডে উন্নতি হয়। ব্যবসায়িক চুক্তি কার্যকর বিষয়ে একই অবস্থান আছে।
বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) আশা করছে, আগামী ৫ বছর নাগাদ বাংলাদেশের অবস্থান ১০০-এর মধ্যে আসবে। কেননা বিনিয়োগকারীদের জন্য ওয়ান স্টপ সার্ভিস আইন পাস হয়েছে। এই সেবা আংশিক চালু হয়েছে।
মনে করা হয়, বিদেশি বিনিয়োগ করার আগে দেশ বাছাইয়ের ক্ষেত্রে বিশ্বব্যাংকের এ সূচকটি বিবেচনায় আসে। বাংলাদেশ এখন এ সূচকে ১৯০টি দেশের মধ্যে ১৭৬তম। এবার বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদন প্রকাশের পর এই অবস্থানের উন্নতি হতে পারে। এখন সূচকে মালয়েশিয়া ১৫, চীন ৪৬, ভিয়েতনাম ৬৯, শ্রীলঙ্কা ১০০ ও পাকিস্তান ১৩৬তম। আফগানিস্তানের অবস্থান ১৬৭তম। এর আগে, গত বছরের অক্টোবরে প্রকাশিত ডুয়িং বিজনেস-২০১৯ প্রতিবেদনে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১৯০টি দেশের মধ্যে ১৭৬তম। বাংলাদেশের স্কোর ছিল ৪১.৯৭। এর আগের বছরের চেয়ে মাত্র এক ধাপ এগোয় বাংলাদেশ। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ সবচেয়ে পিছিয়ে ছিল। গত বছর ভারতের ২৩ ধাপ অগ্রগতি হয়।